Sharing is caring!
শেখ তিতুমীর রির্পোটার (পিআইডি):- প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয় জ্বলছে প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে। সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সবগুলো বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছিলেন।
জানা যায় সাত নম্বর ভবনের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। বাইরে থেকেও আগুনের শিখা দেখা যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই ভবনে থাকা মন্ত্রণালয়গুলোর বহু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র এরই মধ্যে পুড়ে গেছে।
ঢাকা বাংলাদেশ সচিবালয়ের পুড়ে যাওয়া সাত নম্বর ভবনে সবমিলিয়ে ১২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কার্যালয় রয়েছে। তবে বুধবার রাতে লাগা আগুনে কয়টি মন্ত্রণালয় বা বিভাগের কার্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সে বিষয়ে এখনও জানা যায়নি।
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনে সাতটি মন্ত্রণালয়ের কার্যালয় রয়েছে।
এগুলো হলো– সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়; অর্থ মন্ত্রণালয়; শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
এর বাইরে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ছয়টি বিভাগের কার্যালয়ও সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনে।
এগুলো হলো– সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ; অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
বাংলাদেশ সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনের ষষ্ঠ তলায় বুধবার রাত ১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন লাগে, যা পরে উপরের আরও কয়েকটি তলায় ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিটের চেষ্টায় প্রায় ৬ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এদিকে আগুন নেভাতে গিয়ে ট্রাকচাপায় আহত সেই ফায়ার সার্ভিসকর্মী মো. সোহানুর রহমান সোহান (২৮ মারা গেছেন। দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি। সহকর্মীর মৃত্যুর খবর জানার পরেও আগুনের সঙ্গে লড়ে যাচ্ছেন ফায়ার ফাইটাররা। একই সময়ে আহত হয়েছেন হাবিবুর রহমান (২৬) নামে একজন।
এ ঘটনা তদন্তে ইতোমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (জেলা ও মাঠ প্রশাসন) মোহাম্মদ খালেদ রহীমকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে অগ্নিকাণ্ডের উৎস ও কারণ উদ্ঘাটন, অগ্নি দুর্ঘটনার পেছনে কারও ব্যক্তিগত বা পেশাগত দায়দায়িত্ব আছে কি না তা উদ্ঘাটন এবং এ জাতীয় দুর্ঘটনা প্রতিরোধকল্পে সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।