Sharing is caring!
বোচাগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:- দেশে যখন দেশীয় প্রজাতীর মাছ বিলুপ্ত প্রায়, খাল, বিল,নালা, ডোবা ভরাট করে তৈরি হচ্ছে বড় বড় অট্টালিকা। কৈ, টেংড়া, শোল, টাকি, গচি, বাইম, চিংড়িসহ নানা প্রজাতীর দেশীয় মাছ নেই বললেই চলে। সেখানে মাত্র ২ শত টাকায় পেট ভরে দুপুরের খাাবার দিচ্ছেন সিফাত হোটেল।
দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার হাটরামপুর সবজী বাজারে গড়ে উঠেছে মুখ রোচক দেশীয় মাছের ভাতের হোটেল। স্বামী, স্ত্রী, মা ও ফুপু কে নিয়ে চলছে তাদের ২০/২৫ প্রকার দেশীয় মাছ দিয়ে ভাতের হোটেল। মা, মেরিনা বেগম বলেন, ভোর রাতেই তার ছেলে হোটেল মালিক। মোঃ আফিল রানা বেড়িয়ে পড়েন বিভিন্ন মাছ বাজারে। দেশীয় মাছ ও স্থানীয় টাংগন নদীর মাছ সংগ্রহ করতে। এরপর স্ত্রী ও ফুপু ফিরোজা কে নিয়ে শুরু হয় সেই মাছ পরিস্কার ও রান্না করা সাথে হাঁস ও মুরগির মাংস থাকছে। বেলা ১২টা থেকে শুরু হয় দেশীয় মাছের স্বাদ নিতে আসা গ্রাহকদের খাবার খাওয়া।
হোটেল মালিক মোঃ আফিল রানা জানান, দুপুর ২টার পর এলে দেশীয় মাছের স্বাদ নিতে পারবেন না। আমরা চেষ্টা করি দেশীয় মাছের স্বাদটা যেন সবাই পায়। কিন্তু এমন একটা অবস্থা হয়েছে টাকা দিয়েও দেশীয় মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। বিভিন্ন হাট বাজার ঘুড়ে ঐ মাছ সংগ্রহ করতে অনেক হিমশিম খেতে হয়। তার পরও মাত্র ২ শত টাকায় বিভিন্ন দেশীয় মাছ দিয়ে দুপুরের খাবার বিত্রি করছি।
দুরদুরান্ত থেকে লোকজন আসছে আমাদের পারিবারিক হোটেলে। এখানে বাহীরের কোন কর্মচারী নেই। মা, ফুপু, স্ত্রী আর আমিই সব দেখা শুনা করি। সিফাত হোটেলের মালিক মোঃ আফিল রানার মা মেরিনা বেগম(৬৫) মুলত তিনিই প্রধান রন্ধন কারিগর। তার হাতের রান্না অত্যান্ত মজাদার। দেশীয় মাছ ও হাসের মাংসে এক ধরনের সুবাস ছড়িয়ে রাখছে হাটরামপুর সবজী বাজারে। মাত্র ২ শত টাকায় মায়ের হাতের রান্নার স্বাদ নিতে চাইলে আসতে পারেন সিপাত হোটেলে।