Sharing is caring!
জোবায়ের আলম সৈকত:- ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আসর বসবে৷
ইতিমধ্যে এই ঘরোয়া টি ২০ টুর্নামেন্টের আমেজ শুরু হয়ে গেছে।
সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে হয়ে গেল বিপিএল মিউজিক ফেস্ট। পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সুফি গায়ক রাহাত ফতেহ আলী খানের মাদকতাময় গায়কিতে বুঁদ হয়ে যান দর্শক-শ্রোতারা।
সংগীত সন্ধ্যা শুরু হওয়ার আগে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বিপিএলের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
এদিকে চিরাচরিত অভ্যাসবশত এবারও টিকিটের কালোবাজারি হয়েছে ফ্রিস্টাইলে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের বাইরে টিকিট কালোবাজারিদের দৃষ্টিকটু দৌরাত্ম্য ছিল পীড়াদায়ক। পাঁচশ টাকার টিকিট এক হাজার, এমনকি দেড় হাজার টাকায়ও প্রকাশ্যে বিক্রি হতে দেখা গেছে। সবচেয়ে অবাক করার বিষয়, মিডিয়ার সৌজন্য টিকিট চড়া দামে বিক্রি হয়েছে কালোবাজারে।
টিকিট-কেলেংকারি অবশ্য বিসিবির পুরোনো ব্যাধি। নতুন যারা দায়িত্বে এসেছেন তাদের মানসিকতায় যে বদল হয়নি, দর্শকদের চরম ভোগান্তি তার বড় প্রমাণ। অভিযোগ রয়েছে, বিসিবির ভেতরের একটি অসাধু চক্রের যোগসাজশে ‘মিউজিক ফেস্টের’ টিকিটের সিংহভাগ কালোবাজারিদের হাতে চলে গেছে।
ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা জানেন দীর্ঘ লড়াইয়ের পর আমরা আজকের এই বাংলাদেশে আছি। আমরা একটা নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছি। সেই নতুন বাংলাদেশের অংশ হিসাবে আমরা দেশের প্রতিটি সেক্টরে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছি। তারই অংশ হিসাবে বিপিএলটাকেও নতুন করে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
তিনি যোগ করেন, ‘এবারের বিপিএলে থিম সং ও মাস্কটসহ কিছু নতুন নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মাঠের খেলাও যেন উপভোগ্য হয়। সেজন্য বিসিবি অনেক কাজ করেছে। আজকের এই আয়োজনকে সফল করার জন্য ও একটি সুন্দর বিপিএল সবাইকে উপহার দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বিসিবিকে ধন্যবাদ জানাই। আপনারা জানেন আমাদের এই উদ্যোগের সঙ্গে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা নিজেও সরাসরি যুক্ত ছিলেন। আশা করি, এবারের বিপিএল নতুন বাংলাদেশের একটি নতুন বিপিএল হিসাবে সবার কাছে উপভোগ্য হবে।’
অনুষ্ঠানে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আজকে মিউজিক ফেস্টটা শুরু হলো। যারা আসছেন, সবাইকে ধন্যবাদ। খুব ভালো লাগছে আমার।
তিনি বলেন আপনারা এর মধ্যে জেনে গেছেন, যে এবারের বিপিএল আমরা অনেকগুলো কাজ করেছি। প্রধান উপদেষ্টা ও ক্রীড়া উপদেষ্টার নির্দেশনায় আমরা থিম সং ও গ্রাফিতি উন্মোচন করেছি।’