১৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে দুস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত দুম্বার মাংস ভাগ বাটোয়ারা!

admin
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১৬, ২০২৪
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে দুস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত দুম্বার মাংস ভাগ বাটোয়ারা!

Sharing is caring!

বিশেষ প্রতিনিধি, শেখ আসাদুজ্জামান আহমেদ টিটু:-গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে দুস্থ অসহায় এতিম মিসকিনদের মাঝে বিতরনের জন্য বরাদ্দকৃত ২৫০ প্যাকেট দুম্বার মাংস জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গের মাঝে ভাগ বাটোয়ারা করার অভিযোগ ওঠেছে।

উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ত্রান অফিস সুত্রে জানাযায় প্রতি বছরের ন্যায় এবারো জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে পলাশবাড়ী উপজেলায় ২৫ কাটুনে মোট ২৫০ প্যাকেট দুম্বার মাংস বরাদ্দ করা হয়।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্ব থাকায় ১৪ ডিসেম্বর রাতে এই মাংস বিভাজন করেন পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান।
৮ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর সভার চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিভিন্ন এতিম খানা ও লিল্লাহ বোডিং ছাড়া ও এতিম মিসকিন মাঝে এই সমস্ত মাংস বিতরনের জন্য সরকারি নির্দেশনা প্রদান করা হলে ও তা বাস্তবে হয় নি।
ইউপি চেয়ারম্যানদের নামে বরাদ্দকৃত মাংস অর্ধেক এতিম খানায় দেয়া হয় বাকি অর্ধেক ইউপি সদস্য ও সদস্যরা ভাগ বাটোয়ারা করে নেয় বলে অনেক ইউপি সদস্য সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউপি সদস্য জানান ১০ প্যাকেট মাংস এতিম খানায় দিয়েছি বাকি কয়েকটা আমরা মেম্বার চেয়ারম্যান ভাগ করে নিয়েছি।
এছাড়াও এসব মাংস বরাদ্দ দেয়া হয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের, সাংবাদিকদের, পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের।কিছু মাংস সরকারি কর্মকর্তা- কর্মচারীদের মাঝে ভাগ বাটোয়ারা করা হয়েছে বলে অনুসন্ধানে জানাযায়।
এ ব্যাপারে পলাশবাড়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী রাজু বলেন পিআইও স্যার নেই, সব তালিকা প্রনয়ন ও বিতরন ইউএনও স্যার নিজেই করছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করে কোন মন্তব্য পাওয়া যায় নি।
এদিকে এতিম মিসকিনদের দুম্বার মাংস ভাগ বাটোয়ারার বিষয়টি নিয়ে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্টি হয়েছে।