৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

অস্ত্রভর্তি ট্রাংক সরানোর অভিযোগে রাবির দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে পুলিশে সোপর্দ।

প্রকাশিত আগস্ট ২০, ২০২৪
অস্ত্রভর্তি ট্রাংক সরানোর অভিযোগে রাবির দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে পুলিশে সোপর্দ।

Sharing is caring!

মো: মেহেদী হাসান মুন্না রাজশাহী:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মাদার বখশ্ হল থেকে ছাত্রলীগের অস্ত্রভর্তি ট্রাংক হলের বাইরে অন্যত্র সরানোর অভিযোগে সংগঠনটির দুজন কর্মীকে পুলিশে সোপর্দ করেছে ওই হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। তবে অভিযুক্তদের দাবি ওই ট্রাংকটিতে আরেক ছাত্রলীগ কর্মীর ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ছিল।
সোমবার (১৯ আগস্ট) দিবাগত রাত ৪ টার দিকে তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

ছাত্রলীগের কর্মীরা হলেন, পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সিফাত হাসান ও দর্শন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাকসুদ ভুইয়া। সিফাত হল শাখা ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মেশকাত হাসানের অনুসারী।
মাদার বখশ হলের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, রবিবার রাতে সিফাত এবং মাকসুদের সহায়তায় রাসেল নামক আরেক ছাত্রলীগ কর্মীর মাধ্যমে হলের ২০১ নং কক্ষ থেকে একটি অস্ত্রভর্তি ট্রাংক হলের বাইরে সরিয়ে ফেলা হয়।

তবে অভিযুক্তদের দাবি ওই ট্রাংকটিতে রাসেলের ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ছিল। হলের একাধিক শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, রবিবার রাত ১১ টার দিকে হলের ১৬১ নং কক্ষ থেকে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সিফাতকে ধরে টিভি রুমে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে ১৬২ নং কক্ষে ছাত্রলীগ কর্মী মাকসুদ ভুইয়ার উপস্থিতির কথা জানতে পারেন তারা। এসময় মাকসুদের কাছে ২০১ ও ২০২ নং কক্ষের চাবি পাওয়া যায়।

এছাড়াও জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে গত শুক্রবার হলে আসার পর দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মিশকাতের সাথে যোগাযোগের বিষয়টি স্বীকার করেন সিফাত। পরে রাত দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত দুজনকে গাছের সাথে বেধে রেখে হলের সাবেক আবাসিক শিক্ষক ও ফোকলোর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম কনককে জানান। তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করলে পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে অভিযুক্তদের নিয়ে যান। এসময় মাকসুদের ১৬১ নম্বর কক্ষে লোহার রড পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে ড. আমিরুল ইসলাম কনক বলেন , হল থেকে অস্ত্র সরিয়ে ফেলেছে এমন সন্দেহে শিক্ষার্থীরা দুইজনকে আটক করে আমাকে জানিয়েছে। আমরা দেখেছি বিভিন্ন হলের রাজনৈতিক কক্ষগুলোতে অস্ত্র রয়েছে । সেই ধারাবাহিকতায় মাদারবখশ হলেও অস্ত্র থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ওরা সেই অস্ত্র গুলো হয়তো বের করে দেয়ার চেষ্টা করেছে ।

এটা কারো পরামর্শে বা কারো সাথে যোগাযোগ করে এসেছে কিনা তা যাচাই এবং ওদের নিরাপত্তার জন্য আমরা ওদেরকে প্রশাসনের হাতে তুলে দিয়েছি। প্রশাসন তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
এ বিষয়ে মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের দুইজনকে হল থেকে আটক করে আমাদের হাতে সোপর্দ করেছে। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবো।

টাঙ্গাইলে ইয়াবাসহ ইউপি সদস্য আটক —————————————————— হামিদ আল মামুন রানা স্টাফ রিপোর্টার: টাঙ্গাইলে পাঁচ হাজার তিনশত ৮০ পিস ইয়াবাসহ ইউপি সদস্য ও এক যুবককে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-১৪। শনিবার (১ এপ্রিল) ভোর রাতে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাশের গোল চত্ত্বর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকরা হলেন- দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার বিজুল কঞ্চিগাড়ি গ্রামের মৃত নজিবুদ্দিনের ছেলে দিওর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আকরামুল হক (৪৭) ও দিওর গ্রামের মো. ওয়াজেদের ছেলে মো. মোক্তার হোসেন (২৮)। বিষয়টি নিশ্চিত করে শনিবার বিকেলে র‌্যাব-১৪ এর কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, শুক্রবার (৩১ মার্চ) মাঝরাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তিনি জানতে পারেন দুই জন মাদক ব্যবসায়ী বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যের একটি চালান নিয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপাড়ের গোল চত্ত্বর মোড় এলাকায় অবস্থান করছে। তারপর শনিবার ভোর রাতে র‌্যাবের একটি দল উক্ত স্থানে থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় মোক্তার হোসেনের হাতে থাকা একটি শপিং ব্যাগ হতে পাঁচ হাজার তিনশত আশি পিস ইয়াবা ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, তারা আন্তঃজেলা মাদক ব্যবসায়ী চক্রের সদস্য এবং তারা মাদক ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য প্রতিনিয়ত অভিনব কৌশল অবলস্বন করত। তারা ঢাকা মহানগর থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা সংগ্রহ করে দিনাজপুর জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট বিক্রয় করে। গ্রেফতার আসামিদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ মোতাবেক বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানায় মামলা করা হয়েছে।