Sharing is caring!
মোঃ মেহেদী হাসান মুন্না, রাজশাহী:
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা দেশব্যাপী গনমিছিলের অংশ হিসেবে শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় মিছিল শুরু করে রাবি, রুয়েটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা৷ শুরু থেকেই বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী একাংশের তোপের মুখে পড়ে৷
মিছিল চলাকালীন গনমাধ্যমকর্মীদের দেখলেই ভুয়া, ভুয়া স্লোগান, বিদ্রুপ ও ব্যাঙ্গাত্বক বাক্য দিতে দেখা যায়৷ শনিবার শিক্ষার্থীদের মিছিল রাজশাহীর শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান চত্বরে পৌছালে, সে সময় গণমাধ্যমকর্মীরা নিরাপদ দূরত্ব হতে সংবাদ সংগ্রহের কাজ করতে থাকে৷ তবে, গুটি কয়েক শিক্ষার্থীরা গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি এমন আচরনের বিষয়টি পুনরায় পুনরাবৃত্তি ঘটবে এমন প্রত্যয় দিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে বলে৷ অত:পর শিক্ষার্থীদের অনুরোধে আন্দোলন কর্মসূচীর অভ্যন্তরে সংবাদ সংগ্রহে গেলে প্রথমে ভুয়া ভুয়া স্লোগান দেওয়া হয় এবং পরে বাজে ভাষায় গালি দিয়ে ৩জন সাংবাদিককে কোনঠাসা করার চেষ্টা করা হয়৷ এসময় পেছেন থেকে অতর্কিত ভাবে কয়েকজন উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে মারমুখি আচরণ করে৷ তবে, সেখানে উপস্থিত কয়েকজন শিক্ষার্থীরা বিষয়টি টের পেয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপদ দূরত্বে নিয়ে যায়। ভুক্তভোগী ওই সাংবাদিকরা হলেন এখন টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান হাসান রাজিব, বরেন্দ্র আইপি টিভির প্রধান প্রতিবেদক জাহিদ হাসান সাব্বির, এখন টেলিভিশনের ক্যামেরাপারসন রায়হানুল ইসলাম রায়হান৷
এঘটনায় হতাহত না হলেও, ঘটনাস্থলের আরেক পাশে দায়িত্ব পালন করা রাজশাহী ফটো জানালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সামাদ খান এক পক্ষের হামলায় হাতের কব্জিতে আঘাত পান। রক্তক্ষরণের কারণে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়৷
অন্যদিকে, অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলার জনপদের ক্যামেরাপারসন মোহন আলী, ফটো সাংবাদিক দুখু, গনমুক্তির প্রতিবেদক মাজহারুল ইসলাম চপল সহ বেশ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং ফুটেজ ও ছবি ডিলিট করাতে তোপের মুখে পড়ে।
ঘটনাগুলোর পর থেকে রাজশাহীতে কর্মরত সাংবাদিক মহল ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে নিন্দ ও প্রতিবাদ জানাতে দেখা গেছে। দেশব্যাপী একের পর এক গণমাধ্যমকর্মীদের টার্গেট করে এমন নির্যাতন ও লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করছেন সুশিল সমাজ।