নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি :
বগুড়া ও নওগাঁ জেলার চারটি উপজেলার মাত্র চার কিলোমিটার জনগুরুত্বপূর্ণ একটি সড়কে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। দেশ স্বাধীনতার পর একাধিকবার সরকার পরিবর্তন হলেও প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেনি।
নন্দীগ্রাম উপজেলার থালতা-মাঝগ্রাম ইউনিয়নের বড় চাঙ্গুইর হতে চাতরাগাড়ী ভায়া বাঘাদহ ব্রিজ পর্যন্ত কাঁচা সড়কটি বছরের পর বছর উন্নয়ন পকপল বঞ্চিত। সামান্য বৃষ্টির পানিতেই হাঁটুসমান কাদায় ঘরবন্দি হয়ে যায় কয়েকটি গ্রামের লাখো মানুষ।
উপজেলার শেষ সীমান্তের এই সড়কের সঙ্গে আদমদীঘি, দুপচাঁচিয়া ও নওগাঁ জেলার রাণীনগর উপজেলার যোগাযোগ রয়েছে। কৃষি ও মাছ চাষ নির্ভর এই সড়ক সংলগ্ন ও আশেপাশের গ্রামের মানুষের দুর্ভোগের সুযোগে প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে ভোট নিয়ে অনেকে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু পরে কাঁচা সড়কটির খোঁজ রাখেনি কেউ। সপ্তাহের বুধবার ও রবিবার বড় পশুরহাট বসে রাণীনগর উপজেলার আবাদপুকুর। এছাড়া চাঁপাপুর বাজার ধান বেচাকেনার বড় মোকাম।
পশুরহাটে ও ধানের আড়তে লাখো মানুষের যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক উন্নয়নের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। সেখানে গিয়ে দেখা গেছে নন্দীগ্রাম উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরের জনপদ সোনাকানিয়া বাজার থেকে বড় চাঙ্গুইর পর্যন্ত কার্পেটিং সড়ক রয়েছে। সেখান থেকে চাতরাগাড়ী ভায়া বাঘাদহ ব্রিজ পর্যন্ত কাঁচা সড়কটি বৃষ্টির পানিতে হাঁটুসমান কাদামাটিকে একাকার সড়কে দুর্ভোগে আছেন কৃষক ও শিক্ষার্থীরা।
গ্রামের কোনো মানুষ অসুস্থ হলে জরুরি চিকিৎসা জন্য হাসপাতালে নেওয়ার সুযোগ নেই। যানবাহন চলাচল ব্যাহত হওয়ায় রোগীকে কোলে ও কাঁধে করে কাদামাটির সড়ক পার করতে হয়। গ্রামের উৎপাদিত ফসল ও পুকুরে চাষ করা মাছ হাট-বাজারে নেওয়ার সময় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। থালতা-মাঝগ্রাম ইউনিয়নের বাঘাদহ, পারঘাটা, ঘুনপাড়া, পারশুন, বিশারপাড়া, আচুয়ারপাড়া, সাড়াদিঘর, বাসলি, আটান, আন্দাসুরা, মির্জাপুরসহ বেশকয়েকটি গ্রামের মানুষের গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা অবহেলিত।
বিশারপাড়ার আবুল কাশেম, চাতরাগাড়ী বাজারের চা দোকানি এরশাদ আলী ও মাছচাষি হাবিবুর রহমানসহ স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, মাত্র চার কিলোমিটার কাঁচা সড়কেই লাখো মানুষের দুর্ভোগ। ভোটের সময় এলেই সেই দুর্বলতার সুযোগ নেয় প্রার্থীরা। সড়ক উন্নয়নের দোহাই দিয়ে বারবার ভোটারদের বিশ্বাস অর্জন করে জনপ্রতিনিধি পরিবর্তন হলেও প্রতিশ্রুতির কথা পরে মনে রাখেনি কেউ।
‘আর মাত্র ক’দিন পরই বরাদ্দ আসবে এবং কাজ শুরু হবে’, এ কথা যুগযুগ ধরে ঘুরছে জনপ্রতিনিধির মুখে! আর কতবছর পর দুর্ভোগের অবসান ঘটবে, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন স্থানীয়রা। থালতা-মাঝগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মতিন বলেন, গ্রামের অধিকাংশ রাস্তার ইট সোলিংসহ ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এলজিইডির সড়ক তো আর ইউনিয়ন পরিষদের না। মেইন রাস্তাগুলোর উন্নয়ন করবে এলজিইডি।
এ প্রসঙ্গে বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব রেজাউল করিম তানসেন জানান, আওয়ামী লীগ সরকার আমলে প্রতিটি গ্রাম শহরে উন্নতি হচ্ছে। বড় চাঙ্গুইর হতে চাতরাগাড়ী ভায়া বাঘাদহ ব্রিজ পর্যন্ত সড়কটি জনগুরুত্বপূর্ণ, সেটি অবহেলিত থাকতে দেব না।
গ্রামের মানুষ ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করে সংসদে পাঠিয়েছেন। সড়কটির উন্নয়নের জন্য যথাযথ দপ্তরে তালিকা পাঠিয়েছি এবং সংসদে বক্তব্যে বলেছি। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কের উন্নয়ন হবে।
<p>ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক -শেখ তিতুমীর আকাশ।<br>সহকারী সম্পাদক-নাসরিন আক্তার রুপা।<br>বার্তা সম্পাদক-মোঃ জান্নাত মোল্লা।<br>প্রধান উপদেষ্ঠা: আলহাজ্ব খন্দকার গোলাম মওলা নকশে বন্দী ।<br><br>প্রকাশ কর্তৃক : এডভানসড প্রিন্টং - ক-১৯/৬, রসুল বাগ, ঢাকা। মহাখালী ঢাকা হতে মুদ্রিত এবং ১৭৮, পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা-১২১৭ হতে প্রকাশিত। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ অফিসঃ ৩৮৯ ডি আই.টি রোড (৫ম তলা) পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা ১২১৯ ,<br>মোবাইল: - ০১৮৮৩২২২৩৩৩,০১৭১৮৬৫৫৩৯৯</p><p>ইমেইল : abhijug@gmail.com ,</p>
Copyright © 2024 Weekly Abhijug. All rights reserved.