স্টাফ রিপোর্টার, শেখ আসাদুজ্জামান আহমেদ টিটু
২শ মে: টন চাল ও ৫৮ মে:টন গম আত্মসাত এর অভিযোগ ওঠেছে ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা আব্দুল্যা আল মামুনের বিরুদ্ধে। এদিকে চাল ও গম আত্মসাত এর ঘটনা জানাজানি হলে গা ঢাকা দিয়েছে ওই খাদ্য কর্মকর্তা। যদিও কর্তৃপক্ষ বলছে তাকে বদলী করার পাশাপাশি ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
খাদ্য গুদাম সুত্রে জানা যায়, খাদ্য অধিদপ্তরের আদেশে পলাশবাড়ী খাদ্য গুদাম এর খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন ছিদ্দিকির নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি পরিলক্ষিত হওয়ায় কর্তৃপক্ষ তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ করে।
বদলীর আদেশ হাতে পেয়ে বে কায়দায় পরে যান খাদ্য কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন ছিদ্দিকি, কারন তিনি বিভিন্ন উপায়ে বদলীর আগেই গুদাম থেকে সরিয়ে ফেলেছেন প্রায় আড়াই শ মে:টন চাল ও গম।
অবস্থা বেগতিক দেখে পরবর্তী দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর না করেই গা ঢাকা দিয়েছেন খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন ছিদ্দিকি।
এত অল্প সময়ে প্রায় আড়াই শ মে: টন চাল ও গম কি ভাবে আত্মসাৎ করা হলো তা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন ব্যাক্তি জানিয়েছেন দু একজন অসৎ ব্যাবসায়ী ও কতিপয় লেবার এই চাল ও গম রাতের অন্ধকারে পাচার করেছেন।
তবে মিল ও চাতাল মালিকরা বলছে প্রায় ৩ শ মে: টন চাল তারা গুদামে দিয়েছে কিন্তু তাদের বিল পরিশোধ না করেই গা ঢাকা দিয়েছে ওই কর্মকর্তা। আবার অনেক ব্যাবসায়ীর নিকট চেক দিয়ে কর্জ করেছেন প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা।
নিয়মিত পাক্ষিক পরিদর্শনের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ নাজমুল হক জানান,কর্মকর্তার বদলি হলেও তিনি দায়িত্ব হস্তান্তর না করে গা ঢাকা দিয়েছেন। চাল,গম ঘাটতি থাকার বিষয়টি ও উক্ত ঘটনায় মামলা বা বিভাগীয় মামলার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি উক্ত ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির নিকট জানতে পরামর্শ প্রদান করেন।
তিনি আরো দাবী করেন খাদ্য নিয়ন্ত্রক হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি নিয়মিত পাক্ষিক খাদ্য গুদাম পরিদর্শন ও প্রতিবেদন দিয়েছেন সে সময় তিনি সব মালামাল সঠিক ভাবে হিসাব পেয়েছেন।
তবে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রন মিজানুর রহমান জানান, এঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে কিছু খাদ্য কম পাওয়া যায়। গুদাম কর্মকর্তা অন্যত্র বদলি হয়েছে এবং নতুন একজন কে খাদ্য গুদামে প্রেরণ করা হয়েছে।
এখন খাদ্য গুদামের কাজ স্বাভাবিক ভাবে পরিচালিত হচ্ছে। গঠিত তদন্ত কমিটির এ প্রতিবেদনের আলোকে অভিযুক্ত কর্মকর্তাসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
এবিষয়ে পলাশবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ কেএম আজমিরুজ্জামান জানান, অভিযোগ পেয়ে দুদকে প্রেরণ করা হয়েছে। দুদক তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট আইনে ব্যবস্থা নিবেন।
পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুল হাসান জানান, খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার বদলি হয়েছে বলে তিনি জানতে পারেন। তবে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন কিনা সেটা তার জানা নেই। তদন্ত কমিটি গঠন ও মামলা দায়েরের বিষয়টিও নিশ্চিত নয় এ কর্মকর্তা। এবং কতটুকু মালামাল আত্মসাৎ করা হয়েছে সে বিষয়ে তিনি জানেন না বলে জানিয়েছেন।
<p>ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক -শেখ তিতুমীর আকাশ।<br>সহকারী সম্পাদক-নাসরিন আক্তার রুপা।<br>বার্তা সম্পাদক-মোঃ জান্নাত মোল্লা।<br>প্রধান উপদেষ্ঠা: আলহাজ্ব খন্দকার গোলাম মওলা নকশে বন্দী ।<br><br>প্রকাশ কর্তৃক : এডভানসড প্রিন্টং - ক-১৯/৬, রসুল বাগ, ঢাকা। মহাখালী ঢাকা হতে মুদ্রিত এবং ১৭৮, পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা-১২১৭ হতে প্রকাশিত। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ অফিসঃ ৩৮৯ ডি আই.টি রোড (৫ম তলা) পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা ১২১৯ ,<br>মোবাইল: - ০১৮৮৩২২২৩৩৩,০১৭১৮৬৫৫৩৯৯</p><p>ইমেইল : abhijug@gmail.com ,</p>
Copyright © 2024 Weekly Abhijug. All rights reserved.