৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলাতে সাসেক প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজে ব্যাপক অনিয়ম।

Weekly Abhijug
প্রকাশিত মে ১৭, ২০২৪
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলাতে সাসেক প্রকল্প বাস্তবায়ন  কাজে ব্যাপক অনিয়ম।

স্টাফ রিপোর্টার,শেখ আসাদুজ্জামান আহমেদ টিটু

উত্তরাঞ্চলে উন্নয়নের বৃহৎ কর্মযজ্ঞ সাউথ এশিয়া সাবরিজওনাল ইকোনমিক কো অপারেশন প্রকল্প (সাসেক-২) পাল্টে দিচ্ছে উত্তরের দৃশ্যপট। অর্থনৈতিক ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে আনছে এক অভুতপূর্ব পরিবর্তন। সাসেকের মাধ্যমে উন্নয়নের ছোঁয়া এখন পুরো উত্তরজুড়ে। চলতি বছরের মধ্যেই সাসেকের গাইবান্ধা অংশের কাজ শেষ হচ্ছে।

অপরদিকে, আসন্ন ঈদুল আযহা কেন্দ্রিক ঈদযাত্রায় মহাসড়কে চলাচল নির্বিঘ্ন করতে সাসেক সংশ্লিষ্টরা বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছেন।

ঈদযাত্রাকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে এই প্রকল্পের বগুড়া সিরাজগঞ্জ ও রংপুর অংশে মোট ৭টি ওভারপাস ও আন্ডারপাস। খুলে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে গাইবান্ধা অংশে এই প্রকল্পের কাজ ৮২ শতাংশ শেষ হয়েছে আর পুরো প্রকল্পের
মোট ৭৩ ভাগ শেষ হয়েছে বলে সাসেক-২ প্রকল্প কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

মহসড়কের উন্নয়ন ও আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সড়ক নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে সাসেক-২ প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু হয় ২০১৯ সালে। এলেঙ্গা থেকে রংপুরের মডার্ন মোড় পর্যন্ত ১৯০ কিলোমিটার সড়কসহ অবকাঠামো নির্মাণে এই মেগা প্রকল্পের তৃতীয় ধাপ শুরু হবে সাসেক-৩ প্রকল্পের মাধ্যমে।

তৃতীয় ধাপে সাসেক প্রকল্পটি আর্ন্তজাতিক নেটওয়ার্কে যুক্ত হবে। সাসেক-৩ প্রকল্প যাবে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত। এর আরেকটি প্রকল্প শেষ হবে বুড়িমারি পর্যন্ত। সাসেক-২ পরবর্তী দু’টি প্রকল্প দুটি স্থলবন্দরে সংযুক্ত হবে। সাসেক প্রকল্পটি শেষ হলে এই যোগাযোগ নেটওয়ার্কটি আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে এ অঞ্চলে আমূল পরিবর্তন বয়ে আনবে। ইতোমধ্যে সাসেক-২ প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নয়নের এই পরিবর্তনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে।

সূত্র জানায়, সাসেক-২ প্রকল্পে প্রথমে ব্যয় ধরা হয়েছিলো প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার কোটি টাকা। ভূমি অধিগ্রহণসহ অন্য ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় সংশোধনের পর এর প্রাক্কলন ব্যয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৮ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকা।

প্রকল্পের বিভিন্ন স্থানে বাস্তবায়ন কাজের গুনগত মান শতভাগ হলে ও গাইবান্ধার ৩২ কিলোমিটার মহাসড়ক বাস্তবায়নে ব্যাপক অনিয়ম লক্ষ করা যাচ্ছে।

উল্লেখযোগ্য অনিয়মের মধ্যে অধিগ্রহনকৃত জায়গা বুঝে না নেওয়া,রাস্তার বজ্য পলিথিন অপসারণ না করে রোলিং করা,ঠিকমত কিউরিং না করা,বালির পরিবর্তে মাটি ভরাট, বৈদ্যতিক পিলার স্থাপনে অসংখ্য অনিয়ম লক্ষ করা গেছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক আর ই সাহেব সুজাত আলী খান বলেন আমি বিষয়টি দেখে দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রংপুর বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সওজ সুরুজ মিয়া বলেন আমি বিষয়টি অবগত হয়েছি।পিডি মহোদয়ের সাথে কথা বলে পরবর্তী ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media
September 2024
T W T F S S M
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930