৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

গাজীপুরের কাশিমপুরে ৩ নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলরের বিভিন্ন চাঁদাবাজির তথ্য ফাঁস

অভিযোগ
প্রকাশিত মার্চ ১৯, ২০২৪
গাজীপুরের কাশিমপুরে ৩ নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলরের বিভিন্ন চাঁদাবাজির তথ্য ফাঁস

ক্রাইম রিপোর্টার: গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রাক্কালে টানটান উত্তেজনা মুহূর্তে ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইয়াকুব আলীর কাছে ৭৮ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ১২ শতাংশ জমি বিক্রয় করেন শাহিন মোল্লা। কিন্তু জনপ্রতিনিধি হওয়ার পরে বিপদের বন্ধু মো: ইয়াকুব আলী মোল্লার কাছ থেকে ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহিন মোল্লা।

সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আগে নির্বাচন করতে তার টাকার প্রয়োজন হলে প্রায় ৫২ শতাংশ জমি বিক্রি করে চার কোটি টাকার অধিক একটি ফান্ড তৈরি করে তিনি।

সেই চার কোটি টাকার বিনিময়ে ভোটেও নির্বাচিত হন ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহিন মোল্লা।
কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার পর যাদের কাছে জমি বিক্রি করেছিল তারা জমিতে ভুগ দখলে যেতে চাইলেই ঘটে অপ্রীতিকর ঘটনা। হাইব্রিড আওয়ামী লীগ নেতা শাহিন মোল্লা তার বাহিনীদের নিয়ে সেই জমি দখলের চেষ্টা করে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে সফলভাবে জমিটি নিজের দখলও করে নেয় তিনি ।

এমনই এক ভুক্তভোগীর যোগাযোগ করে সাংবাদিকদের সঙ্গে । নাম ইয়াকুব আলী মোল্লা কাশিমপুরের ৬ নং ওয়ার্ডের নয়াপাড়া মহল্লার মৃত আক্কেল আলীর ছেলে। নির্বাচনের আগে শাহিন মোল্লা জরুরী টাকা প্রয়োজন তিনি ১২ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। যার দলিল নং-৫৬১৯ জমিটি সর্বোচ্চ বাজার মূল্যে তিনি নগদ টাকায় জমিটি ক্রয় করেন। শাহীন মোল্লা সম্পূর্ণ টাকা বুঝে পেয়ে ৭/৫/২৩ ইং তারিখে। উক্ত জমি রেজিস্ট্রি করে দেয় মো; ইয়াকুব আলী মোল্লাকে। মো: ইয়াকুব আলী মোল্লা উক্ত জমি তার দুই সন্তান মো: ইউসুফ আলী ও মেয়ে ফাতেমা আক্তার দের নামে রেজিস্ট্রি করে দেয় ০৯/০৮/২০২৩ ইং তারিখে। যার রেজি: নং ৯৯২০ মূলে হস্তান্তর করলে ইউসুফ আলী ও ফাতেমা তাদের নামে খারিজ করে নেয় এবং খাজনা পরিশোধ করে জমিতে বাউন্ডারি করে জমিতে দুইটি সেমি পাকা ঘর ও তিনটি টয়লেট স্থাপন করে ভোগ দখল থাকা অবস্থায় আরো রুম করার জন্য কাজ শুরু করিলে ১৬/০৯/২৩ ইং শনিবার বিকেল আনুমানিক ৪:৩০ মি: এ ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহিন মোল্লা সহ অজ্ঞাতনামা কিছু লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উক্ত জমির নির্মাণ কাজে বাধা প্রদান করে। সেই সময় ইয়াকুব আলী মোল্লাকে জমিতে পেয়ে শাহিন মোল্লা বলেন ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা দিলে এই জমিতে আপনারা কাজ করতে পারবেন। ইয়াকুব আলী মোল্লা চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে, শাহিন মোল্লা সহ তার অজ্ঞাতনামা কিছু লোক ইয়াকুব আলী মোল্লাকে অকাট্য ভাষায় গালিগালাজ করে।

গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে ইয়াকুব আলী মোল্লা কিছু বুঝে ওঠার আগেই শাহিন মোল্লা সহ তার অজ্ঞাতনামা লোকজন ইয়াকুব আলী মোল্লাকে এলোপাথারি ভাবে মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে লীলা ফলা জখম করে। জমিতে থাকা কাজের যত মালামাল ছিল সব লুটপাট করেও নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ২ লক্ষ টাকা। এ বিষয়ে ১৬/০৯/২৩ ইং তারিখে একটি অভিযোগ দায়ের করেন কাশিমপুর থানায় ইয়াকুব আলী মোল্লা।

ইয়াকুব আলী মোল্লা দুঃখের সাথে জানায়, বিষয়টি নিয়ে তিনি মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপির নিকটের শরণাপন্ন হন । মন্ত্রী মহোদয় শাহিন মোল্লাকে জমিটি বুঝিয়ে দিতে বললেও মন্ত্রী মহোদয়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এখনো জমি দিতে নারাজ শাহিন মোল্লা ।

শুধু তার নির্যাতনের শিকার ইয়াকুব আলী মোল্লাই নয় ৩ নং ওয়ার্ডে আরও মানুষ রয়েছেন যারা প্রতিনিয়ত ঘুমকি-ধুমকি, চাঁদা সহ ভিবিন্নি ভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন শাহীন মোল্লা কাছ থেকে।

জানাযায়, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পর ৩নং ওয়ার্ডের এর দায়িত্ব বুঝে পাওয়া পর থেকেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন শাহিন মোল্লা। এ যেন এক আলাদিনের চেরাগ পাওয়ার মতই মনে করেন তিনি।
ক্ষমতা পেয়েই ক্ষমতার অপব্যবহারের মতন তথ্য পাওয়া যায় ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহিন মোল্লার বিরুদ্ধে।
জনপ্রতিনিধি হয়ে জনগণের বিপদ আপদে সহায়তা ও বন্ধু হওয়ার কথা থাকলেও ঘটছে উল্টো ঘটনা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৩ নং ওয়ার্ডের জনগণ বলছে কাউন্সিলর শাহিন মোল্লা কোন যোগ্যতাই নেই কাউন্সিলর হওয়ার। আমরা তাকে সুযোগ দিয়ে একটি সম্মানিত স্থান দিলেও প্রকৃতপক্ষে সে স্থানের যোগ্য নয় শাহিন মোল্লা।

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও স্থানীয় সরকারের নিকট জনপ্রতিনিধির এ সকল অপকর্মে তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার সহ নগরে নিরাপদ-নির্বিঘ্নে ও সুস্থ স্বাভাবিকভাবে জীবন-যাপনের দাবি স্থানীয় জনগণের।

Please Share This Post in Your Social Media
September 2024
T W T F S S M
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930