Sharing is caring!
নেত্রকোনা পৌর ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক মশিউর রহমান বাপ্পীর হাত-পায়ের রগ কেটে ও কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম (পিপিএম) মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক অনিক মাহবুব চৌধুরীসহ ২৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। এতে অনিক মাহবুব চৌধুরীসহ ছয়জনের নাম উল্লেখসহ আরও ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। আসামিদের সবাই ছাত্রদলের সঙ্গে যুক্ত।
মামলায় জানা গেছে, ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে সদর উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের একটি ওরসে গেলে বাপ্পীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা বাপ্পীর হাত ও পায়ের রগসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। তাঁর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান।
স্থানীয়রা দ্রুত বাপ্পীকে উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাত ৩টার দিকে বাপ্পীকে মুমূর্ষু অবস্থায় রাজধানীর শ্যামলী হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। সেখানে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
এ ঘটনায় ১৬ ফেব্রুয়ারি আহত বাপ্পীর মামা মো. জাকারিয়া বাদী হয়ে মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক অনিক মাহবুব চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর হোসেন সুমনসহ ছয়জনের নাম উল্লেখসহ আরও ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
মামলার পরপরই এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি জেলা সদরের অনন্তপুর গ্রামের রনি মিয়াকে (২৫) গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
তবে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাপ্পী তাঁর ওপর হামলাকারীদের নাম বলেন। তাঁর জবানবন্দির ভিডিও ধারণ করেন স্বজনেরা। ভিডিওকে বাপ্পীকে বলতে শোনা যায়, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক অনিক মাহবুব চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর হোসেন সুমনসহ সদর উপজেলা ছাত্রদল ও সরকারি কলেজ ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাদের সঙ্গে আরও ১৫-২০ জন ছিল।
ওসি আবুল কালাম (পিপিএম) বলেন, মামলার পরপরই এজাহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।