Sharing is caring!
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক চার লেন হওয়ার বদৌলতে যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে ঠিকই। তবে এ মহাসড়কের গুরুত্ব ট্রাফিক পয়েন্টগুলোতে পথচারী পারাবারের জন্য কোনো নিরাপদ ব্যবস্থা নেই। মহাসড়কটির ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান, রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তার অদূরে বিমান বাহিনীর সংরক্ষণ ইউনিট এবং গরগরিয়া পুরান বাজার এলাকায় তিনটি ঝুঁকিপূর্ণ ইউটার্নে ‘ইউটার্ন চিহ্ন’ সম্বলিত কোনো সাইনবোর্ড নেই। মহাসড়কের ডিভাইডারে সৃষ্ট ঝোঁপঝাড়ের কারণে এসব ইউটার্ন মাত্র কয়েক গজ দূর থেকেই দেখা দেখা যায় না। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
গত জুলাই এবং চলতি আগস্ট মাসে গাজীপুরে পৃথক ১২টি সড়ক দুর্ঘটনায় এক হাইওয়ে পুলিশ কনস্টেবলসহ ১৯ জন নিহত হয়েছেন। এসব দুর্ঘটনার মধ্যে গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকায় ১০ জন এবং জেলার বিভিন্ন উপজেলায় নিহত হয়েছে নয়জন।
অনুসন্ধান বলছে, গাজীপুর মহানগরীর ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের নাওজোর থেকে ঢাকাগামী অনাবিল পরিবহনের বাসগুলো মানুষখেকো পরিবহনে পরিণত হয়েছে। গত রোববার রাতে নগরীর চৌধুরী বাড়ি এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অনাবিল পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় পোশাক শ্রমিক খাইরুল ইসলাম প্রাণ হারান। এর আগে গত ২১ আগস্ট নগরীর ইটাহাটা এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে অনাবিল পরিবহনের আরেকটি বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারান পোশাক শ্রমিক সোহেল রানা।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক জোনের এডিসি মো. খালিদ বোরহান জানান, অনাবিল পরিবহনসহ যেকোনো ধরনের আনফিট পরিবহন মহাসড়কে দেখা গেলে আটক করে ডাম্পিং জোনে পাঠানো হচ্ছে। এছাড়া ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন ঝুঁকিপূর্ণ ইউটার্নটির ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।