২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

‘বিয়ে করলে কর দিতে হবে’

admin
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৪
‘বিয়ে করলে কর দিতে হবে’

Sharing is caring!

বিয়ের নিবন্ধন শৃঙ্খলায় আনার পাশাপাশি এই খাত থেকে রাজস্ব বাড়াতে নির্দিষ্ট পরিমাণ কর নির্ধারণ করে দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। প্রথম বিয়ে থেকে শুরু করে চারটি বিয়ে পর্যন্ত বিভিন্ন অঙ্কের কর বেঁধে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রথম বিয়ে বা স্ত্রীর মৃত্যুর পরে আবার বিয়ের ক্ষেত্রে ১০০ টাকা, প্রথম স্ত্রীর জীবদ্দশায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ের ক্ষেত্রে ৫ হাজার টাকা, তৃতীয় বিয়ের ক্ষেত্রে ২০ হাজার টাকা এবং চতুর্থ বিয়ের ক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকা ‘বিবাহ নিবন্ধন কর’ বাবদ করপোরেশনের রাজস্ব খাতে জমা দিতে হবে। তবে প্রথম স্ত্রী যদি মানসিক ভারসাম্যহীন অথবা বন্ধ্যা হন, তাহলে পরবর্তী বিয়ের ক্ষেত্রে ২০০ টাকা কর দিতে হবে।

স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯-এর ৮২ নম্বর ধারার চতুর্থ তফসিলের ৮ নম্বর ক্রমিকে অর্পিত ক্ষমতাবলে এবং আদর্শ কর তফসিল ২০১৬-এর ১০(৪)-এর ১৫২ নম্বর ক্রমিকে উল্লিখিত হারে এই কর আদায় করা হবে।

বর্তমানে এ কার্যক্রম ম্যানুয়ালি পরিচালনা করা হলেও শিগগিরই তা অনলাইনে নিয়ে আসতে ইতোমধ্যে করপোরেশন প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছে বলেও জানা গেছে। তখন মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ও অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমেও বিবাহ নিবন্ধন কর পরিশোধ করা যাবে।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ডিএসসিসির জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ডিএসসিসি সূত্রে জানা গেছে, বিবাহ কর হিসেবে এই কর আদায়ের জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতামত চায় ডিএসসিসি। গত বছরের ১৩ মার্চ করপোরেশনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয় মন্ত্রণালয়ে।

গত বছরের ৬ জুন করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের সভাপতিত্বে সভায় করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, আইন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, ঢাকা বিভাগীয় রেজিস্ট্রার, ঢাকা জেলার রেজিস্ট্রার ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার, করপোরেশনের অধীন বিভিন্ন এলাকার কাজীরা, করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এরই ধারাবাহিকতায় করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরপর করপোরেশনের ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড গত জানুয়ারি মাসে ২৮টি বিয়ের নিবন্ধন বাবদ ২ হাজার ৮০০ টাকা রাজস্ব আদায় করে।

এ বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বিয়ে বিচ্ছেদ সংক্রান্ত তথ্য করপোরেশনে এলেও বিয়ের নিবন্ধন সংক্রান্ত কোনও তথ্য আমাদের কাছে থাকে না। কিন্তু স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হিসেবে সিটি করপোরেশন আইন অনুযায়ী এটা বাধ্যতামূলক। আমাদের এই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সামষ্টিকভাবে বিয়ে নিবন্ধন কার্যক্রম একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার আওতায় আসবে।