২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ত্রিশ কোটি পঁচিশ লক্ষ টাকা মূল্যের জব্দকৃত গাঁজা ধ্বংস করলো পুলিশ।

admin
প্রকাশিত জানুয়ারি ১৬, ২০২৪
ত্রিশ কোটি পঁচিশ লক্ষ টাকা মূল্যের জব্দকৃত গাঁজা ধ্বংস করলো পুলিশ।

Sharing is caring!

নিজস্ব প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা থানাধীন ১নং ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডস্থ লোকালয় থেকে প্রায় ১৫ কি.মি দূরে চৌধুরী পাড়া নামক স্থানে দূর্গম পাহাড়ী এলাকার মধ্যে ৩.৫ (সাড়ে তিন) একরের অধিক পরিত্যাক্ত ভূমিতে চাষাবাদরত অবস্থায় ৩০২৫ (তিন হাজার পঁচিশ) টি গাঁজা গাছ যার সমুদয় ওজন ৩০,২৫০ (ত্রিশ হাজার দুইশত পঞ্চাশ) কেজি, যার আনুমানিক মুল্য ৩০,২৫০০০০০ (ত্রিশ কোটি পঁচিশ লক্ষ) টাকার অধিক জব্দতালিকা মূলে জব্দ করেন খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার জনাব মুক্তা ধর, পিপিএম (বার)এর নের্তৃত্বে গুইমারা থানার বিশেষ আভিযানিক দল।

চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নূরে আলম মিয়া বিপিএম (বার), পিপিএম এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় এবং পুলিশ সুপার মুক্তা ধর এর দক্ষ নেতৃত্বে জেলা পুুলিশ মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।

এরই ধারাবাহিকতায় খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে, কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী অত্র গুইমারা থানার দূর্গম পাহাড়ের গহীণ জঙ্গলে সুপরিকল্পিতভাবে বানিজ্যিক ভিত্তিতে বিশাল এলাকা নিয়ে অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজার চাষাবাদ করছে।

পরবর্তীতে পুলিশ সুপারের নের্তৃত্বে গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আরিফুল আমিন সহ গুইমারা থানার একাধিক চৌকস টিম
১৬ জানুয়ারি সকালে সকাল ০৭:৩০ ঘটিকা থেকে ১৪.৩০ ঘটিকা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে তিন একরের অধিক জায়গা জুড়ে অবস্থিত গাঁজার বিশাল বাগান উদঘাটন করে।

ঘটনাস্থলে প্রাপ্ত জব্দকৃত ৩০২৫ (তিন হাজার পঁচিশ) টি গাঁজা গাছ যার ওজন ৩০,২৫০ (ত্রিশ হাজার দুইশত পঞ্চাশ) কেজি যার আনুমানিক মুল্য ৩০,২৫০০০০০ (ত্রিশ কোটি পঁচিশ লক্ষ) টাকা।

উপস্থিত বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদুল আলম এর উপস্থিতিতে জব্দকৃত গাঁজার মধ্যে ১৫ কেজি গাঁজা নমুনা আলামত হিসেবে সংরক্ষন করে অপরাপর ৩০,২৩৫ কেজি গাঁজা ঘটনাস্থলে ধ্বংস করা হয়। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ।

এসময় গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।