Sharing is caring!
তালহা চৌধুরী রুদ্র: চট্রগ্রামের সীতাকুন্ড এলাকায় একইদিনে সমাজের সর্দার ও ব্যবসায়ী এবং ছাত্র খুনের ঘটনা ঘটছে।
জানা যায় সীতাকুণ্ড সামাজিক বিরোধের জেরে নুরুল মোস্তফা বজল( ৫৪)নামে সমাজের সর্দার খুন হয়েছেন।গত রবিবার সন্ধ্যার দিকে বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের পশ্চিম লালানগর নোয়া পুকুরপাড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত বজল একই এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সুবেদার মুজিবুল হকের ছেলে। এইদিকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত তৌহিদুল ইসলাম নিহত বজলের আপন মামাতো ভাই। তার বিরুদ্ধে ডাকাতির ঘটনাসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাতে পুলিশ জানায়, পূর্বের বজল সমাজের সর্দার থাকায় কিছু বিষয়ে তৌহিদের সাথে সমাজ বিরোধী কার্যকলাপ করায় ও তৌহিদুল ইসলাম সন্ত্রাসী প্রকৃত হওয়ায় দীর্ঘদিন সমাজ থেকে বের করে দিয়েছে।গতকাল সন্ধ্যায় নুর মোস্তফাকে একা পেয়ে তার ওপর হামলা চালায়। তৌহিদুল ইসলামসহ তার ১৫-২০ জন অনুসারী।তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মোস্তফার ডান হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেন।এরপর মৃত্যু নিশ্চিতে তার বুকে ২ টি গুলি করে। সীতাকুন্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রাত সাড়ে ৯ টায় সীতাকুণ্ড দুর্বৃত্তের ছুরি আঘাতে মো.আলমগীর হোসেন( ৩৫)নামে এক দোকানদারকে খুন করা হয়েছে। গত রবিবার রাত সাড়ে ৯ টায় সোনাইছড়ি ইউনিয়নের বার আউলিয়া গহরিতল এলাকায় প্রতিদিনের ন্যায় দোকানদারি শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা আলমগীরের টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিতে ছুরির আঘাত করে পালিয়ে যায়।
পরে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে এসে আলমগীরকে উদ্ধার করে ভাটিয়ারী বিএসবি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। নিহত দোকানদার একই এলাকার আবুল হাসেম মাস্টারের বাড়ির মৃত আবাজ উল্লাহ পুএ।অপরদিকে রাত সাড়ে ১০টায় ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে ইমন(১৫) নামে এক ব্যক্তিকে তিন বন্ধু মিলে লাঠি দিয়ে পিটাতে পিটাতে খুন করে পেলেন।
ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের জঙ্গল সলিমপুরের ৩ নাম্বার সমাজ লোকনাথ মন্দিরের পাশের এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানান ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে ইমনের সাথে সুজন, ফারুক, ও মুন্না নামের তিনজনের বাড়াবাড়ি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তারা তিনজন ইমনকে লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করলে সে গুরুতর আহত হয়। পরিবারের লোকজন আহত ইমনকে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার অবস্থান অবনতি হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন চিকিৎসকরা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই তার মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় অভিযান চালিয়ে ১.সুজন, (১৭)পিতা:কালা বাচ্চু, ২.ফারুক(১৫)পিতা:বাবুল মিয়া,৩.মুন্না(১৭)পিতা:মৃত বোরহান উদ্দীন ছেলে গ্রেপ্তার করা হয়। নিহত কিশোরের বাবার নাম সবুজ। ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সীতাকুণ্ড থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল উদ্দিন (পিপিএম) বলেন, ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে হত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর দুইটি ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের বিভিন্ন টিম জোরালোভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।