মোজাম্মেল হক লিটন, নোয়াখালী প্রতিনিধি:নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাতে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। এসব কিশোর গ্যাং ও মাদকসেবীদের দিবালোকে চেনা অনেকটা কঠিন। এরা দিনের বেলায় কেউ মাছ বিক্রি করে কেউ আবার নারিকেল ও সুপারি বিক্রি করে নিজেদের ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে বেড়ায়। অথচ এরাই রাতের আধাঁরে বেড়িয়ে পড়ে মৎস্য খামার থেকে মাছ চুরি, পাড়া-মহল্লা থেকে নারিকেল ও সুপারি চুরির কাজে। পরে দিনে চুরি করার এসব জিনিসপত্র বাজারে বিক্রি করে। এদের রয়েছে সংঘবদ্ধ চক্র। একজনকে কেউ বাধা-নিষেধ করলে মোবাইলে ফোনে অন্যদের ডেকে আনে। গত কয়েকদিন আগে এই কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় এক সিএনজি চালক নিহত হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, এসব কিশোর গ্যাং ও মাদক সেবীরা রাতে এলাকা চষে-বেড়ায়। এদের ভয়ে ও আতঙ্কে সাধারন মানুষজন অবাধে চলাফেরা করতে পারে না। এদের আক্রমণ হিংস্র জন্তর মত। এরা ইতোপূর্বে কয়েকটি হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে। অন্যদিকে এদের ছত্রছায়ায় ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেনীতে পড়ুয়া ছাত্ররা স্কুল ত্যাগ করে বিভিন্ন অসামাজিক অপরাধের সাথে লিপ্ত হচ্ছে। চাটখিল পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে পাল্লা রোডের পানিজাপাড়া, ফাওড়া গ্রাম পর্যন্ত এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের অবস্থান সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হয়। এবিষয়ে পাঁচগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহমুদ হোসেন তরুণ কিশোর গ্যাংয়ের অত্যাচারের কথা স্বীকার করে বলেন, গ্রাম পুলিশ দিয়ে তিনি কিশোর গ্যাংয়ের অত্যাচার থামানোর চেষ্টা করলেও আশানুরূপ ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরেকটু নজরদারিত্বে রাখা দরকার।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সন্ধ্যার পর সড়কের উপর, বাগানের ভিতর মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীদের আসর বসে। এদের বেশিরভাগই কিশোর গ্যাংয়ের সংক্রিয় সদস্য। আবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে চাটখিল পৌর শহরে এসে স্থানীয় বড় ভাইদের ছত্রছায়ায় এরা অপরাধ ঘটিয়ে নিজ এলাকায় ফিরে যেতেও যায়। সন্ধ্যার পর থেকে ভোর রাত পর্যন্ত চাটখিল পৌর শহরের বদলকোট রোড, পাল্লা রোড, ভূঁইয়া কলোনী এলাকায়, সোনালী ব্যাংকের ছাঁদে, বিভিন্ন স্কুলের বারান্দায় ও ছাঁদে, খোকন ভিডিও গলিতে, সেন্ট্রাল হাসপাতাল রোডে এদের আনাগোণা দেখা যায়।
চাটখিল থানার অফিসার ইনচার্জ এমদাদুল হকের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তিনি ২দিন আগে চাটখিল থানায় যোগদান করেছেন। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হবে বলে তিনি জানান।
<p>ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক -শেখ তিতুমীর আকাশ।<br>সহকারী সম্পাদক-নাসরিন আক্তার রুপা।<br>বার্তা সম্পাদক-মোঃ জান্নাত মোল্লা।<br>প্রধান উপদেষ্ঠা: আলহাজ্ব খন্দকার গোলাম মওলা নকশে বন্দী ।<br><br>প্রকাশ কর্তৃক : এডভানসড প্রিন্টং - ক-১৯/৬, রসুল বাগ, ঢাকা। মহাখালী ঢাকা হতে মুদ্রিত এবং ১৭৮, পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা-১২১৭ হতে প্রকাশিত। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ অফিসঃ ৩৮৯ ডি আই.টি রোড (৫ম তলা) পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা ১২১৯ ,<br>মোবাইল: - ০১৮৮৩২২২৩৩৩,০১৭১৮৬৫৫৩৯৯</p><p>ইমেইল : abhijug@gmail.com ,</p>
Copyright © 2024 Weekly Abhijug. All rights reserved.