Sharing is caring!
মোঃ মিজানুর রহমান মানিক: গাইবান্ধায় এক বীর মুক্তিযোদ্ধার বসতবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। উক্ত ঘটনায় একাধিক প্রশাসনিক দপ্তরে অভিযোগ করেও সঠিক বিচার পাননি ভুক্তভোগী ওই পরিবার। গত ২৫/০৫/২৩ তারিখ সকাল আনুমানিক ৯ টায় জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার নুনিয়াগাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ব্যপারে গত ৩১/০৫/২৩ তারিখে বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আজিজার রহমানের মেয়ে শ্যামলী আক্তার বাদি হয়ে গোলাম সারোয়ার প্রধান (বিপ্লব) পিতা মৃত আলহাজ্ব সাখাওয়াতজ্জামান প্রধান(বাবু) সাং জামালপুর, মাহমুদুল হাসান(৩৫) পিতা-মোঃ বাবু মুন্সি ,সাং-বাঁশকাটা, ৩। এস, এম মেহেদী হসান মিঠু (৩৮) পিতা- মেঃ নজরিল ইসলাম, ৪ । মােছঃ নহিদ সুলতানা(৩৫) স্বামী- এস এম মেহেদী হাসান মিঠু, মোছাঃ মোর্শেদা বেগম স্বামীঃ আবদুল সাত্তার, গ্রামঃ নুনিয়াগাড়ি, মোঃ সাব্বির মিয়া, পিতাঃ আবদুর জলিল মিয়া, গ্রামঃ জামালপুর , শাফি মিয়া(৪০) পিতা- মোঃ আজগার আলী, সাং-ফতেপর, বারু মিয়। (৩৫) পিতা- মৃত আইয়ুব আলী, সাং- গৃধারীপুর, সকলের থানা- পলাশবাড়ী, জেলা-গাইবান্ধাগণসহ অজ্ঞাতনামা ১৫०/১৬০ জন অন্যান্য আসামীদের বিরুদ্ধে এজাহার করিতেছি যে, আসামীগণ একদলভুক্ত,
দূর্দান্ত, আইন অমান্যকারী, পরসম্পত্তি লােভী, জনবলে বলিয়ান, অন্যায়কারী এবং লুন্ঠন ও জবর-দখলকারী প্রকৃতির ব্যক্তি।
নিন্মতপশীল বর্নিত জমি আমার পিতা তার জীবদ্বশায় ক্রয়সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে বসতবাড়ী নির্মান করেন। আমার পিতার মৃত্যুর পর আমরা আমাদের বসতবাড়ীর সামনে দোকানঘর নির্মান করে ব্যবসা-বানিজ্য পরিচালনা পূর্বক জীবিকা নির্বাহ করছি।
আমাদের বসতবাড়ী সংলগ্ন সামান্য পরিমান জমি সরকারি খাস খতিয়ানভ়ুক্ত হওয়ায় এবং আমার পিতা একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা ও
অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনী সদস্য হওয়ায় আমরা উক্ত খাস খতিয়ানভুক্ত জমি আমাদের নিজনামে লীজ গ্রহণের উদ্দেশ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ভূমি মন্ত্রানানয়ে একটি আবেদন দাখিলপূর্বক যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি। আসামী- গােলাম সরােয়ার
প্রধান @ বিপ্লবসহ অন্যান্য আসামীগণ উক্ত বিষয়ে জানতে পাওয়ার পর আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী
আসামীগণ আমাদের বসতবাড়ীসহ বসতবাড়ী সংলগন খাস খতিয়ানভুক্ত জমিতে থাকা স্থাপনা ইংরেজী-২৪-০৫-২০২৩ তারিখ সকাল
অনুমান-১১.০০ ঘটিকার সময় একজন নির্বাহী ম্যাজিট্টেট এর উপস্থিতিতে উচ্ছেদ করেন। পরবর্তীতে আমি আমাদের বসতবাড়ীর
সীমানায় টিনেরবেড়া স্থাপন পূর্বক বসবাস করা কালে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে আসামী-গােলাম সরোয়ার প্রধান বিপ্লবসহ অন্যান্য আসামীগণ আমাদের বসতবাড়ীর জমি জোরপর্বক বেদখল করার পায়তারাসহ আমাদেরকে প্রকাশ্যভাবে বিভিন্ন ধরনের ভয়- ভীতি ও হুমকী প্রদর্শন করতে থাকলে আমি নিরুপায় হয়ে গত ইংরেজী-২৭-০৫-২০২৩ তারিখ পলাশবাড়ী থানায় একটি সাধারন ডায়রী দাখিল করি। থানা পুলিশ বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করবেন বলে আমার ডায়রী কপি গ্রহণ করেন এবং আমাকে ফেরৎ পাঠিয়ে দেন।
পরবর্তীতে থানা পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে পলাশবাড়ী থানার সাধারন ডায়রী নং-১৩৭০, তারিখ-২৯-০৫-২০২৩ ইং ডায়রীভূক্ত করেন ।
আমি আমার ব্যক্তিগত প্রয়াজনে ঢাকায় আবস্থান করার সুযোেগে আসামীগণ আমার সাধারন ডায়রী বিষয়ে জানতে পেরে ক্ষিপ্ত
হয়ে গত ইংরেজী- ২৯-০৫-২০২৩ তারিখ সকাল অনুমান-০৯.০০ ঘটিকার সময় উপরোক্ত সকল আসামীগণসহ অজ্ঞাতনামা
আসামীগণ পূর্ব, পরিক্ল্পনা অনুযায়ী হাতে লাঠি, লোহার শাবল, হাতুড়ী, হাম্বল ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র- সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে
অনাধিকারভাবে আমাদের বসতবাড়ীর জমিতে প্রবেশ কররে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে আমাদের বসতবাড়ীর জমি জবর-দখল করার উদ্দেশ্যে আসামী-গােলাম সরোয়ার প্রধান @ বিপ্লব এর হুকুমে সে সহ অন্যান্য আসামীগণ আমাদের বসতবাড়ীর ০৫(পাঁচ) কক্ষের ভিতরে থাকা সমুদয় মালামাল (আসবাবপত্রসহ ব্যবহার্য জিনিষপত্র) এবং আমাদের বসতবাড়ীর সামনে থাকা ০৩ (তিন)টি দোকান ঘরের প্রায় ২০,০০,০০০/- (বিশলক্ষ) টাকার মালামাল লুটপাট করে একে অপরের সহায়তায় আসামী-গােলাম সরোয়ার প্রধান বিপ্লব এর বাড়ীতে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে সকল আসামীগণ তাহাদের হাতে থাকা হাতুড়ী, হাম্বল দ্বারা আমাদের বসতবাড়ীর কক্ষগুলির ইটের দেয়াল ভাংচুর করিতে থাকলে আমার অসহায় বৃদ্ধা মাতা, বড় বোনসহ শিশুসন্তানেরা আসামীদের উক্তরূুপ অন্যায় কার্যকলাপে বাধা-নিষেধ করিলে আসামী-গােলাম সরােয়ার প্রধান @ বিপ্লব, মাহমুদুল হাসান, মেহেদী হাসান মিঠু, নাহিদ সুলতানা, সেলিনা বেগম এবং শাফি মিয়াগণ ভীতি ও ত্রাসের সৃষ্টি করে আমার বৃদ্ধা মাতাসহ বড় বান ও আমার শিশুসন্তানদের খুন-জখম করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধারালাে অন্ত্রপাতি নিয়ে ধাওয়া করে অমাদের বসতবাড়ীর পার্শ্ববর্তী এস.এম ইউনিক কিন্ডারগার্ডন স্কুল এর ভিতরে নিয়ে গিয়ে মারপিটসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে ছেলাফুলা বেদনা দায়ক জখম করতঃ তাহাদেরকে উক্ত স্কুলের একটি কক্ষের ভিতরে রেখে বাহির থেকে তালাবদ্ধ করতঃ অবরুদ্ধ করে রাখে। আসামীগণ হাতুড়ী ও হাম্বলদ্বারা আমাদের বসতবাড়ীর সমুদুয় ঘর ও দোকানঘরগুলি ভাংচুর করতে ব্যর্থ হয়ে একটি অপরিচিত ভেকু (এক্সকেভেটর) নিয়ে এসে উক্ত ভেকু(এক্সকেভেটর)দ্বারা আমাদের বসতবাড়ীর ঘরগুলি ভাংচুর করে নিচিহ্ন করে দিয়ে প্রায় ৩০,০০,০০০/- (ত্রিশ লক্ষ) টাকার ক্ষতি সাধন করে। আসামীগণ ইংরেজী-২৯-০৫-২০২৩ তারিখ সকাল অনুমান-০৯.০০ ঘটিকা হইতে বিকাল অনুমান-০৪.০০ ঘটিকা পর্যন্ত
আমাদের তথা একজন বীরমুক্তিযোদ্ধার বসতবাড়ী নিশ্চিহ্ন করে দেয়। আসামীগণ তাদের কার্যাসিদ্ধির পর আমার মাতা, বোন ও বাড়ীর শিশু সন্তানদের উক্ত স্কুলের কক্ষ থেকে বের করে দিলে তারা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করে। আমি একাধিকবার জাতীয় জরুরী
মােবাইল সেবা ৯৯৯ এ কল করলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে আসামীগণ পুর্বের ন্যায় অবৈধস্থাপনা উচ্ছোদ করা হচ্ছে মর্মে থানা পুলিশকে বুঝিয়ে ফেরৎ পাঠিয়ে দেয়। আমি সংবাদ পেয়ে ঢাকা থেকে বাড়ীতে এসে আমার মাতা, বোনসহ উপস্থিত
লােকজনদের নিকট ঘটনা শুনি এবং দেখি।