২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

গোয়াইনঘাট থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আহাদ যোগদানে এলাকায় শস্তি

অভিযোগ
প্রকাশিত আগস্ট ২৫, ২০১৯
গোয়াইনঘাট থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আহাদ যোগদানে এলাকায় শস্তি

মোঃআব্দুল্লাহ, গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি
গোয়াইনঘাট থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আহাদ যোগদানের পর থেকেই গোয়াইনঘাটে পুলিশের তৎপরতা চোখে পড়ার মতো। তার যোগদানে মাত্র ২০ দিনে সাজা প্রাপ্ত, ওয়ারেন্টভূক্ত, মাদক ব্যবসায়ী, নারী নির্যাতনসহ একাধিক মামলায় জড়িত ৫৩ জন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।

সিলেটের পুলিশ সুপার মো. ফরিদ উদ্দিনের দিক নির্দেশনা ও গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল আহাদের বিচক্ষণ নেতৃত্বে চলমান মাদক বিরোধী অভিযানে অপরাধীদের পাকড়ায়ের পাশাপাশি ৪৯ বোতল ভারতীয় বিভিন্ন ব্যান্ডের মদ, ২বোতল ফেন্সিডিল, ২কেজি ২০০গ্রাম গাঁজা, ভারতীয় ৮হাজার শলাকা সিগারেট, ৭০৫পিছ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

গোয়াইনঘাট থানা সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের মধ্যে নিয়মিত মামলায় ৩৩ জন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত ২০ জন, সাজা পরোয়ানাভূক্তসহ ভারতীয় তীর খেলার অপরাধ (জুয়া আইনে) এসব অপরাধীদের গ্রেপ্তার পরবর্তী আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

স্থানীয়রা বলছেন, অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল আহাদের যোগদানের পর থানার অপরাধ প্রবণতা হ্রাস কল্পে গৃহীত পদক্ষেপ দ্রুততায় এগুচ্ছে। ইতোমধ্যে ১৩টি মাদক মামলা রেকর্ড করে একাধিক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করায় সচেতন মহল থেকে পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা কুড়াচ্ছে।

এসব মামলায় মাদক বিক্রেতাদের গ্রেপ্তারসহ উদ্যোগ নেওয়ায় জাফলং, বিছনাকান্দি, রাতারগুল আশপাশের সবকটি পিকনিক স্পটসহ বড় বড় হাট বাজার এবং মাদক স্পটে মাদকের অবাধ বিকিকিনি অনেকটাই কমতে শুরু করেছে। বিশেষ করে সালুটিকর এবং জাফলংয়ে হাত বাড়ালেই যেখানে মাদক ছিল সহজলভ্য পণ্য, সেখানে মূর্তিমান আতংকের নাম ওসি মো. আব্দুল আহাদ। তার চৌকস নেতৃত্বে থানার অফিসারসহ পুলিশ সদস্যরা মাদক বিরোধী চলমান অভিযানকে আরও গতিশীল করছেন।

৬ আগস্ট গ্রেপ্তারকৃত সাজা পরোয়ানাভূক্ত আসামি সাহাব উদ্দিন, ৭ আগস্ট সাজা পরেয়ানাভূক্ত জয়নাল আবেদীন, ১৭আগস্ট সাজা পরোয়ানাভূক্ত জামাল উদ্দিন, ২০আগস্ট সাজা পরোয়ানাভূক্ত শাহ্ আলম, ২১আগস্ট সাজা পরোয়ানাভূক্ত কালা মিয়া নামক দাগী অপরাধীদের গ্রেপ্তারে সক্ষম হয়েছে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ।

এছাড়াও খবর পাওয়ার পর সম্প্রতি এক পর্যটকের ভেসে আসা লাশ উদ্ধার করে কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ফেরত পাঠানো, ইমামের উপর হামলা, নারী নির্যাতনের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তার এবং আইনি উদ্যোগ চোখে পড়ার মতো।

জাফলংয়ে বেড়াতে আসা সাঁতার না জানা পর্যটকদের মৃত্যুহ্রাসে গণসচেতনতায় হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে পুলিশের তরফে মাইকিংয়ের উদ্যোগ সচেতন মহলসহ পর্যটকদের প্রশংসা কুড়াচ্ছে।

এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল আহাদ বলেন, অপরাধী পুলিশ সখ্যতা হলে অপরাধীর সাথে পুলিশের সম্পর্ক ভালো থাকে, কিন্তু জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবেন। আর যদি জনগণ পুলিশ সখ্যতা থাকে তাহলে জনগণের জন্য কাজ করে যাওয়া সহজ। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়াইনঘাট থানাকে মাদক, অপরাধমুক্ত থানা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে যা করা দরকার তা করব।

তিনি বলেন, আমাদের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন স্যারের নির্দেশনায় আমাদের চলমান অপরাধ দমন অভিযান অব্যাহত আছে। মাদকের ব্যাপারে টিম গোয়াইনঘাট থানার অবস্থান জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত থাকবে। অপরাধমুক্ত গোয়াইনঘাট থানা গঠনে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

!

Please Share This Post in Your Social Media
April 2024
T W T F S S M
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30