Sharing is caring!
মোঃ মেহেদী হাসান মুন্না, রাজশাহীঃরাজশাহীর চারঘাট উপজেলার রাওথা স্কুলও কলেজটিতে হাঁটু জল পেরিয়ে বিদ্যালয়ে আসতে হয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের।এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। প্রতিবছর বর্ষার সময় ২/৩ মাস পানির মধ্য দিয়ে বিদ্যালয়ে আসতে হয় শিক্ষক শিক্ষার্থীদের। স্কুল ও কলেজটি স্থাপিত হয় ২০০০ সালে। প্রতিদিন হাঁটু পানি পেরিয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াতের কারণে পাঠদানে শ্রেণিকক্ষে কমেছে ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতির সংখ্যা। এতে করে ব্যাহত হচ্ছে শ্রেণি কক্ষের পড়াশোনা।কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির কারণে মাঠে পানি জমে থাকায় শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা ও খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। হচ্ছে না জাতীয় সংগীত পরিবেশনও।দূর থেকে মনে হচ্ছে এটি রাওথা স্কুল কলেজের মাঠ নয় যেন কোন এক দিঘীতে পরিণত হয়েছে। বিদ্যালয়ে শুধু পানি আর পানি।বিদ্যালয়ের বিকল্প রাস্তা না থাকার কারণে মাঠ দিয়ে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করতে হয় শিক্ষক শিক্ষার্থীদের।দীর্ঘ ২২ বছর পেরিয়ে (এমপিও ভুক্ত) হয় স্কুলটি। যার ফলে সংস্কার ও উন্নয়নের কোন ছোঁয়া লাগেনি এই বিদ্যালয়টিতে।একই সাথে রাওথা কলেজ স্থাপিত হয় ২০০০ সালে এবং (এমপিও ভুক্তি) হয় ২০১০ সালে ।
জানা গেছে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও মাঠটি সংস্কার কাজ না হওয়ায় বর্ষাকালে জলবদ্ধতায় হাঁটু পানিতে পরিণত হয় মাঠসহ বিদ্যালয়ের চতুর্পাশ। শিক্ষকও শিক্ষার্থীরা বলছে বিদ্যালয়ের মাঠ উঁচু করে মাঠে মাটি ফেলে অথবা বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে প্রবেশের বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা করলে দুর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বৃষ্টির পানির সঙ্গে এলাকার আশেপাশের নোংরা আবর্জনাসহ পানি মাঠে প্রবেশ করে। এ কারণে শিক্ষার্থীরা ছাড়াও আরো অনেকে পড়েছে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে।
এ ব্যাপারে রাওথা স্কুলের প্রধান শিক্ষক তপু রায়হান বলেন,প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়ন করার জন্য নিরলস ভাবে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।তবে কর্তৃপক্ষ দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মাঠে জলবদ্ধতা সহ প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়ন করা সম্ভব বলে জানান তিনি।
রাওথা কলেজের অধ্যক্ষ নাদের হোসেন জানান,কলেজের সভাপতি চারঘাট পৌর মেয়র একরামুল হক,স্কুল ও কলেজের মাঠটি ভরাটের জন্য টেন্ডারের প্রক্রিয়াধীন করেছেন,অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যালয়ের মাঠ মাটি দিয়ে ভরাট করা হবে।