Sharing is caring!
মোঃ আবু তালেব: বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) উদ্ভাবিত বিনা-১৭ আমন ধান ১১০ – ১১৫ দিনের মধ্যে উত্তরাঞ্চলের কৃষকেরা ঘরে তুলতে পারছেন। এ ধান কাটার পর আলু ও সরিষাসহ অন্যান্য ফসল চাষ করা যায়।ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে বিনা-১৭ জাতের ধান কর্তনে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা।
৯ অক্টোবর সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার মধ্য বনগাঁও গ্রামের কৃষক রুবন, হারবেস্টার দ্বারা ৪ বিঘা জমির বিনা -১৭ ধান কর্তন করছে, তিনি এ প্রতিবেদককে জানান এবার খরা আবহাওয়ার কারণে সেচ বেশী দিতে হয়েছে, অতিরিক্ত রৌদ্রের কারণে এবার ধানে চিঠা রোগ হয়েছে।
আমন ধান চাষি( সাংবাদিক) খুরশিদ আলম শাওনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এবার রুক্ষ আবহাওয়ার কারণে আমার ধানে চিঠা রোগ সংক্রমণ হয়েছে, প্রচুর সেচ লেগেছে, ফলন তুলনা মূলক কম হওয়ায়, এ ধান রোপণ করে আমি ক্ষতিগ্রস্থ।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার শহিদুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বিনা -১৭ ধাণ চাষের বিষয়ে বলেন,
আগে আশ্বিন-কার্তিক মাস আসলেই উত্তরাঞ্চলে মঙ্গা বা আধা দুর্ভিক্ষ দেখা দিতো। বেশির ভাগ মানুষের ঘরে খাবার থাকতো না। আমন ধান ঘরে তোলার আগ পর্যন্ত খাবার জুটত না। বর্তমান সরকারের নানা পদক্ষেপের ফলে ইতোমধ্যে দেশ থেকে মঙ্গা দূর হয়েছে।
বিনা-১৭ হলো বিনা উদ্ভাবিত আমন মৌসুমের জন্য উচ্চফলনশীল ও স্বল্প জীবনকালের ধানের জাত। বিনাধান-১৭ এর জীবনকাল ১১০-১১৫ দিন এবং গড় ফলন বিঘা প্রতি ২৭ মণ। এ জাতগুলোর জীবনকাল কম হওয়ায় পানি ও অন্যান্য উপকরণ খরচ কম লাগে। বিনাধান-১৭ জাতে ইউরিয়া সার এক-তৃতীয়াংশ কম প্রয়োজন হয় ও ৫০ শতাংশ কম সেচ দিতে হয়।