Sharing is caring!
বগুড়া জেলা প্রতিনিধি: বগুড়ার নন্দীগ্রামে কয়েক দিনের টানা ভারী বৃষ্টিতে বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানি বন্দি হয়েছেন। বসত বাড়িতে হাঁটুপানি। বেশ কয়েকটি ঘর ভেঙে পড়েছে। বগুড়া নন্দীগ্রাম উপজেলা উত্তর কচুগাড়ি কয়েকটি বাড়ি এখন পানি বন্দী।
গত তিন/চারদিন ধরে ঘন থেকে মাঝরী ধরনের বৃষ্টির কারনে নন্দীগ্রামে কিছু এলাকার বাড়ি ঘর পানি বন্দীর পরিণতি হয়।বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে প্রায় শতবিঘা মরিচখেত। পুকুর ডুবে মাছ ভেসে যায়। টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে পানি নেমে আসায় এসব এলাকায় পানি প্লাবিত হয়।
নন্দীগ্রাম পানি প্লাবিত কিছু এলাকা হলো নাগর-কান্দি, দমদমা, রুস্তমপুর, পৌরসভার পূর্বপাড়া, দক্ষিণপাড়া, কলেজপাড়া, নামুইট, বৈলগ্রাম, দামগাড়া, ওমরপুর, উত্তর-কচুগাড়ি, ক্যালণ-নগর কালিকাপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের বসতবাড়িতে হাঁটুপানি দেখা গেছে।
পানিবন্দি থাকায় কেউ কেউ ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। বাড়ির আঙিনা, ঘরে মেঝেসহ ডুবেছে চুলা। ফসলি জমিগুলোও হাবুডুবু অবস্থা। শিমলা কচুগাড়ী হিন্দুপাড়ায় বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতায় থাকা মাটির ঘর-বাড়ি ও দেয়াল ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ওই গ্রামের দুলাল চন্দ্র, নলি বালা, পরেশ চন্দ্র এবং নিরেন চন্দ্র। দুলাল চন্দ্রের ছোট একটি হাঁসের খামার ছিল। তার দুইশত হাঁসের মারা গিয়াছে বলে যানান।
কল্যাণ-নগর গ্রামে পৌরসভার সাবেক মেয়র কামরুল হাসান সিদ্দিকী জুয়েলের খামারের ৭০০ মুরগি মারা গেছে। উপজেলা ও পৌর এলাকার বিভিন্ন গ্রামের অর্ধশতাধিক পুকুর ডুবে মাছ ভেসে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন চাষিরা।
অন্যদিকে থালতা-মাঝগ্রাম ইউপি সদস্য মুকুল হোসেন জানান, টানা বৃষ্টিতে বেশ কয়েকটি গ্রামের বসতবাড়িতে পানি ঢুকেছে। ইউনিয়নের প্রায় ৫০ বিঘা মরিচখেত ডুবে গেছে।