স্টাফ রিপোর্টারঃ নওগাঁয় অপহরণের ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও উদ্ধার হয়নি শিশু মরিয়ম।
বিধবা মা রতন বিবি আজও আশায় আছেন কবে ফিরবে তার মেয়ে সেরকমই এক হ্রদয় বিদারক ঘটনা ঘটেছে নওগাঁ সদর উপজেলার চকমুক্তার গ্রামে। গত ২৮ এ ফ্রেব্রুয়ারী ফৌজদারী আইন অনুসারে ৫ জনকে আসামী করে মামলা করলে পুলিশ মামলাটি আমলে নিয়ে মামলার ১ নং আসামী মুক্তি ও চার নং আসামী মোছা: হাসিনা কে আটকের পরে জিজ্ঞাসাবাদ এর এক পর্যায়ে পুলিশ জানতে পারে শিশু মরিয়ম কে ভারতে পাচার করা হয়েছে। এবং বাকী আসামিকে পুলিশ এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি এবং বাচ্চাটিও উদ্ধার হয়নি।
এ বিষয়ে বাচ্চার মা রতন বিবি ও বাচ্চার বড় ভাই প্রশাসন এর কাছে দাবী করেন - আমার বুকের ধন আমার মরিয়মকে আমাদের কাছে ফিরেয়ে দেওয়া হোক প্রশাসন এর কাছে আকুল আবেদন করছি।
এ বিষয়ে নওগাঁ তদন্ত কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) খ: সাব্বির আরাফাত জনি বলেন - মামলার বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, মূল দুজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাচ্চাটিকে উদ্ধার এর জন্য ভারতের দায়িত্ব প্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা বরাবর আবেদনও করেছি। প্রশাসন এর পক্ষ হতে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য,
মামলা ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,নওগাঁ সদর চকমুক্তার গ্রামের রতন বিবির স্বামী মারা যাওয়ার পর, বালুডাঙ্গা বাসষ্ট্যান্ডের বিভিন্ন হোটেলে পানি ঢোয়ানো ও বাসন মাজার কাজ করে একমাত্র কন্যা মরিয়াম (১১)কে নিয়ে পাশবর্তী চকরামচন্দ্র উত্তর পাড়ায় এক ভাড়াবাসাতে বসবাস করতো। রতন বিবি হতদরিদ্র হওয়ার সুযোগে বালুডাঙ্গা বাসষ্ট্যান্ডের আশে-পাশে বসবাসকারী নারী-শিশু পাচারকারীর সক্রিয় সদস্য মোছাঃ মুক্তি, তার স্বামী বাবু, মোঃ বাপ্পী,মোছাঃ হাসিনা,মোঃ আসলামসহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫জন তার সাথে খাতির জমাতে থাকে। এক পর্যায়ে রতন বিবির বাড়ীতেও যাওয়া-আসা শুরু করতে থাকে তারা এবং তার ১১বছরের শিশু কন্যা মরিয়ামকে বিভিন্ন ধরনের খাবারের জিনিস খেতে দেয় ও খুব আদর স্নেহ করতে থাকে। রতন বিবি হতদরিদ্র, সহজ-সরল হওয়ায় এবং মুক্তির আপন বোন ইতির বাড়ী পাশা-পাশি হওয়ায় সে কখনো বুঝতেই পারে নাই, তার সাথে খাতির জমানো ব্যাক্তিরা ভয়ংকর পরিকল্পনা নিয়ে তার সাথে খাতির জমিয়েছে।
এমতবস্থায় গত বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) রতন বিবি প্রতিদিনের মত হোটেলের কাজে বাড়ী থেকে চলে গেলে, সেই সুযোগে পাচারকারীরা তার বাড়ীতে গিয়ে তার শিশু কন্যা মরিয়ামকে মোবাইল ফোন মেরামতের কথা বলে ফুসলিয়ে বাড়ী থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ সময় পাশবর্তী বাদশা নামের এক ব্যাক্তি জিজ্ঞাসা করলে, তারা বলে, শহরের মধ্যে মোবাইল ফোন মেরামত করার জন্য যাচ্ছি। এরপর সুন্ধা পরও মরিয়াম ফিরে না এলে, বাবু ও বাপ্পীকে মরিয়ামের বিষয় জিজ্ঞাসা করলে তারা কোন উত্তর না দিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এরপর রতন বিবির কান্নাকাটি দেখে স্থানীয়রা এসে বিষয়টি জানতে পারে এবং এলাকার লোকজন সকলে মিলে অপহরণকারীদের বাসায় যায় এবং বসষ্ট্যান্ডের বিভিন্ন জায়গায় কয়েকদিন যাবত খুঁজতে থাকে কিন্তু কোথাও তাদেরকে পাওয়া না গেলে অবশেষে গত ১৯ ফেব্রুয়ারী নওগাঁ সদর থানায় একটি জিডি করেন। এরপরও শিশুকন্যা মরিয়ামের কোন খোঁজ খবর না পেলে রতন বিবি গত ২৫ফেব্রুয়ারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। তাতে কোন কাজ না হলে, গত ২৭ ফেব্রুয়ারী নারী-শিশু দমন ট্রাইঃ-১ রতন বিবি বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।আদালত মামলাটি এজাহার স্বরুপ গ্রহন করার জন্য নওগাঁ সদর থানায় প্রেরণ করেন। ঐ দিন সকালে ০১৮২৫৪৮৭৬১৭ মোবাইল ফোন নং থেকে রতন বিবির বাড়ীর পাশের জনৈক রেবেকা নামের একজনকে ফোন করে মরিয়মকে বের করে দেবে বলে ১০হাজার টাকা দাবী করে। পরবর্তীতে থানা পুলিশ সুকৌশলে ১নম্বর আসামীকে নওগাঁর নওজোয়ান মাঠে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে ১নম্বর আসামির কাছে থেকে জানা যায়, কিশোরী মরিয়মকে তারা সরাসরি শান্তাহার নিয়ে যায়। এরপর শান্তাহার থেকে যশোর হয়ে বেনাপোলে নিয়ে যায়। সেখানে মরিয়মকে বিক্রয় করে মুক্তি তার ভাগের টাকা নিয়ে নওগাঁয় ফিরে এসে নওজোয়ান মাঠ এলাকায় গোপনে বসবাস করতে থাকে। আর মরিয়ামকে নিয়ে হাসিনা ভারতের বোম্বে চলে যায়।
<p>ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক -শেখ তিতুমীর আকাশ।<br>সহকারী সম্পাদক-নাসরিন আক্তার রুপা।<br>বার্তা সম্পাদক-মোঃ জান্নাত মোল্লা।<br>প্রধান উপদেষ্ঠা: আলহাজ্ব খন্দকার গোলাম মওলা নকশে বন্দী ।<br><br>প্রকাশ কর্তৃক : এডভানসড প্রিন্টং - ক-১৯/৬, রসুল বাগ, ঢাকা। মহাখালী ঢাকা হতে মুদ্রিত এবং ১৭৮, পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা-১২১৭ হতে প্রকাশিত। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ অফিসঃ ৩৮৯ ডি আই.টি রোড (৫ম তলা) পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা ১২১৯ ,<br>মোবাইল: - ০১৮৮৩২২২৩৩৩,০১৭১৮৬৫৫৩৯৯</p><p>ইমেইল : abhijug@gmail.com ,</p>
Copyright © 2024 Weekly Abhijug. All rights reserved.