Sharing is caring!
স্টাফ রিপোর্টার: মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় পাওয়ার টিলার মেশিন চুরির ঘটনায় সাটুরিয়া থানা পুলিশ প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা মূল্যের চোরাই মালামালসহ ৬ চোর সদস্য কে গ্রেফতার করেছেন সাটুরিয়া থানা পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার সকাল ১১টার দিকে সাটুরিয়া থানা চত্বরে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন মানিকগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ গোলাম আজাদ খান, পিপিএম-বার।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, সাটুরিয়া উপজেলার হরগজ এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে রুবেল হোসেন (৩৫) তারা মিয়ার ছেলে শরীফুল (২৯) চুন্নু মিয়ার ছেলে রাজু মিয়া (২৬) আব্দুল ওহাবের ছেলে রাজিব হোসেন (৩০), গোলড়া এলাকার মৃত উকিল দেওয়ানের ছেলে করম দেওয়ান (৩০) এবং ঢাকার ধামরাই উপজেলার জগৎনগর এলাকার মঙ্গল আলীর ছেলে আব্দুল লতিফ (৫০)।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, গত ১২ আগস্ট রাতে উপজেলার ঘিওর এলাকার মোঃ রফিকুল ইসলামের পাওয়ার টিলার মেশিনটি চুরি হয়। চুরির ঘটনায় রফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামী করে থানায় মামলা করেন।পরে সাটুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস মামলাটিকে আমলে নিয়ে চোর চক্রটিকে ধরতে অভিযান শুরু করে। তিনি এই মামলার তদন্তভার দেন থানার এসআই মোস্তফা আহমেদকে। এরপর পুলিশের অভিযানে সন্দেহজনকভাবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উপজেলার হরগজ এলাকা থেকে প্রথমে রুবেল হোসেন ও পরে আরো ৪ জনকে আটক করা হয়। পরে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা চুরির কথা স্বীকার করেন। তারা জানায় যে, তারা একটি সংঘবদ্ধ চোর চক্র। তারা সংঘবদ্ধভাবে চুরি করে সেগুলো বিভিন্ন জায়গায় পর্যায়ক্রমে সুবিধা অনুযায়ী বিক্রি করে থাকেন। পরে আসামীদের দেওয়া তথ্যমতে সাটুরিয়া উপজেলা হরগজ ও ধামরাই উপজেলার জগৎনগর এলাকা হতে ১৪ লক্ষ ৯৩ হাজার টাকা মুল্যের কয়েকটি পাওয়ার টিলার, পুরাতন জেনারেটর, সেলোমেশিন, পানির পাম্পসহ অন্যন্য মালামাল উদ্ধার করা হয়। এসময় ধামরাইয়ে জগৎনগর এলাকায় অভ্যাসগত চোরাই মালামাল ক্রয় ও নিজ হেফাজতে রাখার দায়ে আসামী আব্দুল লতিফকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরো জানান, আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হবে। বাকিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে। উদ্ধারকৃত মালামাল প্রকৃত মালিকদের নিকট বুঝিয়ে দেয়া হবে।
এদিকে কৃষকের সেচ যন্ত্র উদ্ধারের খবর পেয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষকরা থানায় এসে তাদের পাওয়ার টিলার, স্যালো মেশিন ও জেনারেটর সনাক্ত করে পাওয়ার আশায় থানায় ভীড় জমাচ্ছেন।