Sharing is caring!
বাংলাদেশের ক্রিকেটের বিখ্যাত ‘পঞ্চপাণ্ডব’-এর অন্যতম মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার কি শেষ? বেশ কয়েক মাস ধরে এই প্রশ্নটাই ঘুরপাক খাচ্ছে দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে। অনেকে আশা করেছিলেন, এশিয়া কাপে হয়তো সুযোগ পেতে পারেন মাহমুদ উল্লাহ। এখনো দল ঘোষণা না হলেও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কথায় বোঝা গেল, মাহমুদ উল্লাহর সামনে খুব একটা আশা নেই। এশিয়া কাপের জন্য ১৭ জনের মূল দলে মাহমুদ উল্লাহকে দেখছেন না পাপন।
আজ শুক্রবার গুলশানে নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি সভাপতি পাপন জানান, শনিবার এশিয়া কাপের দল ঘোষণা হবে। সেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে পাপন নিজেই দল ঘোষণার কাজটাও সেরে ফেললেন! সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমার ধারণা, এটা (এশিয়া কাপের স্কোয়াড) মনে হয় মোটামুটি ঠিক হয়ে গেছে। অন্তত চারটা পেসার নিয়ে যাবে। আমাদের পাঁচজন থেকে যেকোনো চারজন যাবে।
আবার এমনও হতে পারে পাঁচজন নেবে। নিতে হবে কিন্তু ১৭ জন। বিশ্বকাপে নিশ্চিত পাঁচজন নিয়ে যাব পেসার, মানে এটা আমার ধারণা। যে ধরনের উইকেটে খেলা হবে, তাই করবে।তার পরও ধরছি চারজন নেবে।’
এশিয়া কাপের দলে স্পিন আক্রমণে কারা থাকবেন সেটাও জানিয়ে দেন বিসিবি সভাপতি, ‘স্পিনার আমাদের সাকিব আছে, মিরাজ আছে; তারপর একটা অতিরিক্ত স্পিনার নিতে হবে অবশ্যই। তাইজুল আর নাসুম আছে। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে আমার ধারণা নাসুমেরই সম্ভাবনা বেশি। এখানে আরেকটা চলে গেল।
পাঁচটা চলে গেল। এদের ছাড়া, আমি মিরাজ ও সাকিবের নাম বলেছি; তাহলে সাতজন হয়ে গেল। আমার একটা ওপেনার বাকি, তাওহিদ হৃদয়-শান্ত-মুশফিক বাকি আছে। এদের বাদ দিয়ে তো আর করা যাবে না।’
এরপর নিজে থেকেই মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ ও আফিফ হোসেনদের কথা বলেন পাপন। তবে সেটা অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে। পাপনের ভাষায়, ‘অতিরিক্ত প্লেয়ার কাকে নেব, এটা জিজ্ঞেস করতে পারেন। আমি মনে করি, এখানে আফিফ আছে, মাহমুদ উল্লাহ আছে, শামীম পাটোয়ারি আছে।’
এ সময় বিসিবি সভাপতিকে প্রশ্ন করা হয়―এই নামগুলো মূল দলের বাইরে কি না? জবাবে তিনি বলেন, ‘১৭ জনের বাইরে। আমার ১৭ শেষ আগেই। তার পরও আপনাদেরকে বলছি। আপনারা যে কাকে বাদ দিতে চাচ্ছেন, সেটা আমি জানি না। আপনারা যখন নামগুলো বলেন, বুঝি না কেন। ধরেন এদেরকে আমার (দলে) ঢোকাতে হতে পারে। এমনকি মোসাদ্দেকও হতে পারে।’