৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে এসএসসিতে পাসের হার ৭৮.২৯ শতাংশ

প্রকাশিত জুলাই ২৯, ২০২৩
চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে এসএসসিতে পাসের হার ৭৮.২৯ শতাংশ

Sharing is caring!

পলাশ কান্তি নাথঃ

২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ২১৬টি কেন্দ্রে ১ হাজার ১০৭টি প্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ৫৪ হাজার ৭৬৯ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করেছে, এমন বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৪৫টি।জিপিএ ৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৪৫০ জন, গতবছর ছিল ১৮ হাজার ৬৬৪ জন। এ বছর চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুটোই কমেছে।২৮ জুলাই শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ন চন্দ্র নাথ।চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে এসএসসিতে পাসের হার ৭৮.২৯ শতাংশ। যা গত বছর ছিল ৮৭.৫৩ শতাংশ।ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, এবার পাস করেছে ১ লাখ ২০ হাজার ৮৬ জন। এদের মধ্যে ছাত্র ৬৮ হাজার ৩১৬ জন এবং ছাত্রী ৮৬ হাজার ৫০৩ জন। পাসের হার ৭৮.২৯ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় ৯.২৪ শতাংশ কম।  ছাত্র পাসের হার ৭৭.৭৫ শতাংশ যা গত বছরের তুলনায় ৯.৫৮ শতাংশ কম এবং ছাত্রী পাসের হার ৭৮.৭২ শতাংশ যা গত বৎসরের তুলনায় ৮.৯৭ শতাংশ কম।এবার জিপিএ ৫ পেয়েছে সর্বমোট ১১ হাজার ৪৫০ জন যা গত বৎসরের তুলনায় ৭ হাজার ২১৪ জন কম। এর মধ্যে ছাত্র ৫ হাজার ৪ জন যা গত বছরের তুলনায় ২ হাজার ৭৭১ জন কম এবং ছাত্রী ৬ হাজার ৪৪৬ জন যা গত বছরের তুলনায় ৪ হাজার ৪৪৩ জন কম।চট্টগ্রাম মহানগরে পাসের হার ৮৫.৪৩ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় ৮.৭৮ শতাংশ কম। মহানগর ছাড়া চট্টগ্রাম জেলায় পাশের ৭৮.১০ শতাংশ। সকল সূচকেই এ বছর পরীক্ষার্থীরা বিগত বছরের তুলনায় খারাপ ফল করেছে। পূর্ণ সময় ও সব বিষয়ে পরীক্ষা হওয়ায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমেছে বলে জানান বোর্ড সংশ্লিষ্টরা।জিপিএ ৫ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে ছাত্রীরা। গত বছরের তুলনায় তাদের জিপিএ ৫ কমেছে ৭ হাজার ২১৪টি।চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ন চন্দ্র নাথ জাতীয় সাপ্তাহিক পত্রিকা অভিযোগ কে বলেন, করোনা পরিস্থিতির পর এবছর সব বিষয়ে এবং পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা হয়েছে। তাই পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমেছে। সামগ্রিক চিন্তা করলে আমাদের শিক্ষার্থীরা ভালো করেছে।