১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে বাবার স্বপ্ন পূরণ করা হলো না এনায়েতের

প্রকাশিত জুলাই ২৫, ২০২৩
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে বাবার স্বপ্ন পূরণ করা হলো না এনায়েতের

Sharing is caring!

অনেক স্বপ্ন নিয়ে চট্টগ্রামে পড়তে গিয়েছিলেন এনায়েত উল্লাহ (২২)। কিন্তু ফিরলেন লাশ হয়ে। বন্ধুদের সঙ্গে সমুদ্র সৈকতে গোসল করতে নেমে ভেসে যান তিনি। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। এ ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (২৪ জুলাই) রাত ১১টার দিকে সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এনায়েত উল্লাহ কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার সাদেকপুর দক্ষিণপাড়ার মৌলবি বাড়ির মাওলানা এমদাদুল্লাহর ছেলে। তিনি সীতাকুণ্ডের কুমিরায় অবস্থিত আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দাওয়াহ অ্যান্ড স্ট্যাডিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

সীতাকুণ্ডের গুল আহমেদ জুট মিল এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন এনায়েত।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, দুই বোন ও তিন ভাইয়ের মধ্যে মেজ ছিলেন এনায়েত উল্লাহ। তার বাবা একটি মাদরাসার প্রিন্সিপাল। সোমবার বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে চান তিন বন্ধু। সেখানে বন্ধুদের সঙ্গে সৈকতে গোসল করতে নামেন এনায়েত। সন্ধ্যা ৬টার দিকে গোসল করার এক ফাঁকে সমুদ্রের স্রোতে এনায়েতসহ আরেক বন্ধু ভেসে যান। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে সন্ধান না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। রাত ১১টার দিকে গভীর সমুদ্র থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

নিহত অপর শিক্ষার্থী হলেন আলী হাসান মারুফ (২৩)। তার বাড়ি কুমিল্লায়। তারা দুজনই একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।

এনায়েত উল্লাহর সহপাঠী একরাম হোসেন বলেন, বিকেলে তারা তিন বন্ধু বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে যান। পরে তারা তিনজনই সাঁতার কাটতে সৈকতে নামেন। এসময় আলী হাসান মারুফ ও এনায়েত উল্লাহ স্রোতের টানে সাগরে ভেসে যান।

নিহত এনায়েত উল্লাহর বাবা মাওলানা এমদাদুল্লাহ বলেন, ‘আমার ছেলে একজন মেধাবী ছাত্র ছিল। সে পড়াশোনায় খুব মনোযোগী ছিল। আমাদের স্বপ্ন ছিল সে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়া শেষ করে বড় একটি চাকরি করবে। আমাদের স্বপ্ন পূরণ করবে। কিন্তু আল্লাহর ডাকে আমার ছেলে দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছে। আল্লাহ যেন আমার সন্তানকে জান্নাত নসিব করেন।’

স্থানীয় ইউপি মেম্বার তাইবুদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, আমরা এলাকার একজন মেধাবী ছাত্রকে হারালাম। সমুদ্র সৈকত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।