Sharing is caring!
ঢাকা: নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়া গেলে সচেতন করার পরও যদি না মানে তাহলে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম৷ একই সঙ্গে অভিযান পরিচালনার জন্য আরও ১০ থেকে ১৫ জন ম্যাজিস্ট্রেট চেয়েছেন তিনি।
বুধবার (১৯ জুলাই) বিকালে সচিবালয়ে ডেঙ্গু ও অন্যান্য মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে গৃহীত কার্যক্রম পর্যালোচনার লক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের জরুরি সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন।
সভায় মেয়র আতিক জানান, ডেঙ্গু রোধে বিভিন্ন বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আমি গত ৮ জুলাই গিয়েছিলাম জাপান গার্ডেনে সেখানে ২৭টি ভবন রয়েছে। এ ভবনগুলোর নিচে গাড়ি ধোয়ার স্থানে ডেঙ্গুর লার্ভা পাওয়া গেছে। এছাড়া সরকারি বেসরকারি কয়েকটি স্থানে গিয়েছিলাম সেখানেও একই অবস্থা। এটি হলো বাস্তব চিত্র৷ আমার মনে হয় অবশ্যই চিকিৎসা চলবে তবে এখন কোরামিন দেওয়ার সময়। সেটি হলো সবাইকে যার যার বাসাবাড়ি আঙ্গিনা পরিষ্কার করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের কাজের মধ্যে নতুন হলো উত্তর সিটি করপোরেশনের সবার বাসা-বাড়িতে কল সেন্টার থেকে ফোন করা হচ্ছে৷ এরমধ্যে ২৮ শতাংশ ‘ভেরি পজিটিভ ফিডব্যাক’ পেয়েছি। আর বাকি কল সেন্টার থেকে কল করলে ওনারা বলছেন, আমাদের বাসায় এসে আপনারা পরিষ্কার করে দিয়ে যান। আমরা পরিষ্কার করতে পারব না। এটি নতুন একটি সংযোজন। এসএমএস এর মাধ্যমে মেসেঞ্জার দেওয়া হচ্ছে। আমি শিক্ষা ও ধর্মমন্ত্রীদের নিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক, প্রিন্সিপাল ও মসজিদের কমিটির সভাপতিদের নিয়ে বসেছি। এ থেকে বেরিয়ে আসতে হলে সামাজিকভাবে ঘর থেকে সচেতন হতে হবে, এছাড়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, চলতি মাসে ১১দিনে এক কোটি ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আমার মনে হয় এত জরিমানা এর আগে এডিশ মশার জন্য করা হয়নি। একই সঙ্গে ৫ লাখ টাকা জরিমানা না দিয়ে ৫০০ টাকার ওষুধ ছিটিয়ে যদি হয়ে যায় সেটিই ভালো। এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। এ উদ্যোগে জনগণকে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে।
আতিকুল ইসলাম বলেন, গাড়ি পার্কিংয়ের প্রতিটি জায়গা আমাদের দেখতে হবে। যেসব বাসাবাড়িতে নির্মাণ কাজ চলছে এবং মশার লার্ভা পাওয়া যাবে। তাদের বারবার সচেতন করার পরও যদি না মানে আমরা নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেব। আমাদের সচেতনতা জরুরি। আমাদের যে লেকগুলো রয়েছে। সেগুলো বারবার বলার পরও পরিষ্কার করা হয়নি। আমাদের অভিযান পরিচালনার জন্য যত দ্রুত সম্ভব আরও ১০ বা ১৫ জন ম্যাজিস্ট্রেট দিতে হবে। বিটিআরসি থেকে প্রতিদিন মেসেজ দিয়ে সচেতন করতে হবে। মন্ত্রীকে লাইভ করে জনগণকে সচেতন করার পরামর্শও দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, জানুয়ারি থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ১২৭ জন মারা গেছেন। এ সময় আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার মানুষ।