২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

স্ত্রীর পরকীয়ার বলি খুনের টাকা নিজেই খুনিচক্রের হাতে পৌঁছে দেন এখলাস!

প্রকাশিত জুলাই ১৮, ২০২৩
স্ত্রীর পরকীয়ার বলি খুনের টাকা নিজেই খুনিচক্রের হাতে পৌঁছে দেন এখলাস!

Sharing is caring!

ঢাকা মহানগর ডেস্ক : মৃত্যুর মাত্র কয়েক মিনিট আগেও টের পাননি স্ত্রীর পরকীয়ার বলি হতে যাচ্ছেন রাজধানীর হাজারীবাগের জমি ব্যবসায়ী মো. এখলাস। তাই তাকে হত্যার জন্য খুনিচক্রকে যে টাকা দেয়ার কথা ছিল এর একটা অংশ নিজ হাতে পৌঁছে দিয়েছিলেন তিনি।

রাজধানীর হাজারীবাগের জমি ব্যবসায়ী এখলাস ঈদুল আজহার আগের রাতে গত ২৮ জুন স্ত্রী পরকীয়া প্রেমিকের সাজানো সেই নিখুঁত ষড়যন্ত্রে হত্যার শিকার হন। এই খুনের পরিকল্পনা পাকা করে ওমরাহ পালনে যান হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড।
সম্প্রতি সময় সংবাদকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি প্রধান) হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, এ চক্রের কয়েকজনকে গ্রেফতারের পর বের আসে নানা তথ্য। জমি সংক্রান্ত বিরোধ আর নিহতের স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ছক কষেন মাস্টারমাইন্ড। যিনি এখনও পলাতক।

গত মাসের ২৮ জুন। ঘটনাস্থল রাজধানীর হাজারীবাগ। সিসিটিভির ফুটেজ দেখা গেছে, রাত ১০টা আড়াই মিনিটের দিকে রিকশায় চড়ে যাচ্ছেন স্থানীয় জমি ব্যবসায়ী এখলাস। গন্তব্য হাজারীবাগের টপ টেইলার্স। জানা গেছে, এটিই জীবিত এখলাসের শেষ ছবি। এরপর ৩০ জুন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কামারাঙ্গীরচর বেরিবাঁধ এলাকা থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

গোয়েন্দা পুলিশের তথ্য মতে, এখলাসকে হত্যা করতে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার চুক্তি হয় খুনিচক্রের সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ডের। পরিকল্পনা মতো চাঁদ রাতে এখলাসের মাধ্যমেই টপ টেইলার্সে অপেক্ষারত দুই খুনির কাছে ২ লাখ টাকা পৌঁছে দেন অভিযুক্ত মাস্টারমাইন্ড। এ সময় এখলাসকে চা খাওয়ার জন্য বসতে বলে অভিযুক্তরা। এরপর সেখানেই শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় তাকে। রাতেই মরদেহ ফেলে দেয়া হয় কামরাঙ্গীরচরে বেরিবাঁধ রাস্তার পাশে।

ডিবি প্রধান আরও জানান, এখলাসকে খুনের পরিকল্পনা করে ওমরাহ পালনে যান অভিযুক্ত মাস্টারমাইন্ড। আর ঘটনার রাতে নিজেই তদারকি করেন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের খুঁটিনাটি। এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে কাজ করেছে স্ত্রীর সঙ্গে অভিযুক্ত মাস্টারমাইন্ডের পরকীয় আর জমি সংক্রান্ত বিরোধ। শিগগিরই মাস্টারমাইন্ডকেও গ্রেফতার করা হবে। এ হত্যাকাণ্ডের মূলপরিকল্পনাকারী বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করছেন বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ।