Sharing is caring!
নিউজ ডেস্ক : জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে হওয়া চুক্তি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরে দাঁড়ানো সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়া। সোমবার (১৭ জুলাই) ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এই ঘোষণা দিয়েছেন।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
নিয়মিত ব্রিফিংয়ে পেসকভ বলেন, ‘শস্য চুক্তি এখন আর নেই। রাশিয়া এই চুক্তির শর্তগুলো আর মেনে না চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
সোমবার ছিল এই চুক্তির শেষ দিন, আর এই দিনই চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিল রাশিয়া।
চুক্তি নবায়নের জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে চিঠিও লিখেছিলেন।
রাশিয়ার অভিযোগ, শিপিং ও বীমার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেশটির খাদ্য ও সার রফতানিকে বাধাগ্রস্ত করেছে। দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘কৃষ্ণ সাগর চুক্তি অনুযায়ী মস্কোর চাওয়া বাস্তবায়ন হলে, অবিলম্বে রাশিয়া চুক্তিতে ফিরে আসবে।’
নিয়মিত ব্রিফিংয়ে পেসকভ বলেন, ‘শস্য চুক্তি এখন আর নেই। রাশিয়া এই চুক্তির শর্তগুলো আর মেনে না চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
সোমবার ছিল এই চুক্তির শেষ দিন, আর এই দিনই চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিল রাশিয়া।
চুক্তি নবায়নের জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে চিঠিও লিখেছিলেন।
রাশিয়ার অভিযোগ, শিপিং ও বীমার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেশটির খাদ্য ও সার রফতানিকে বাধাগ্রস্ত করেছে। দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘কৃষ্ণ সাগর চুক্তি অনুযায়ী মস্কোর চাওয়া বাস্তবায়ন হলে, অবিলম্বে রাশিয়া চুক্তিতে ফিরে আসবে।’
যদিও এর আগে ১৪ জুলাই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, ‘রাশিয়া ইউক্রেনের সঙ্গে শস্য চুক্তি বাড়ানোর জন্য সম্মত হয়েছে। পুতিন আমার সঙ্গে এই চুক্তির নবায়নের বিষয়ে একমত পোষণ করেছে।’
এরদোয়ান সাংবাদিকদের বলেন, তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আগস্টে পুতিনকে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি। কৃষ্ণসাগরের শস্য করিডোর সম্প্রসারণের বিষয়ে আমরা একমত।
এরদোয়ান জানান, ইউক্রেনের সঙ্গে শস্য চুক্তি নবায়নের ক্ষেত্রে তিনি এবং পুতিন একই মনোভাবে বিশ্বাসী।’ তবে এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও বিবৃতি দেয়নি ক্রেমলিন। মস্কো বলেছে, শর্তপূরণ করলেই চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের কারণে ইউক্রেন থেকে শস্য রফতানি ব্যাহত হয়,যার ফলে কিছু দেশে খাদ্যের ঘাটতি দেখা দেয় এবং বিশ্বজুড়ে দাম বেড়ে যায়।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির তথ্যমতে, ইউক্রেনে উৎপাদিত শস্য বিশ্বব্যাপী প্রায় ৪০ কোটি লোকের খাবারের জোগান দেয়। ২০২২ সালের জুলাই মাসে কৃষ্ণসাগরে শস্য চুক্তি সাক্ষরে মধ্যস্থতা করেছিল তুরস্ক। এরপর এই চুক্তি বেশ কয়েকবার নবায়নও হয়েছে।
চুক্তিটির ফলে ইউক্রেন তিন কোটি ২০ লাখ মেট্রিক টন শস্য রফাতানির অনুমতি পেয়েছে। এই শস্যের বেশিরভাগই আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং অন্যান্য অঞ্চলের উন্নয়নশীল দেশগুলোতে গেছে।