Sharing is caring!
মোঃ জহির হোসেনঃ কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার আদ্রা ইউনিয়নে একবাড়িয়া বাজার থেকে এক যুবতী মেয়ে মোবাইল মেরামত করে বাড়ি ফেরার পথে ধর্ষনের শিকার হয়। সরজমিনে ঘটনার
স্থল পরিদর্শন করে জানা যায় ঘটনাটি গত ১৩ জুলাই রাত আনুমানিক ৮.৪০ মিনিটে একবাড়িয়া বাজার থেকে মোবাইল মেরামত করে বাড়ি ফেরার পথে পাটোয়ারী বাড়ি সংলগ্ন ২ যুবক ছেলে মেয়েটির মুখ ছেপে ধরে পথ আটকে দেয়।পরে মেয়েটিকে সড়কের পাশে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষন করে। যুবক ২ ছেলের বাড়ি একবাড়িয়া তালুকদার বাড়ি পিতাঃ মোঃ মোস্তফা ছেলে ধর্ষক মেহেরাজ হোসেন রবিউল, পিতাঃ এমরান হোসেন ধর্ষক বোরহান উদ্দিন রাজু নামে ২ ছেলে মেয়েটিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষন করে। ঘটনাটি সত্যতা যাচাই করতে গত ১৪ জুলাই অনুসন্ধানে নামেন প্রতিবেদক, তারপর ঘটনাটি বরুড়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফিরোজ হোসেনকে মুঠোফোনে অবগত করলে তাৎক্ষণিক ব্যাবস্হা নিতে নির্দেশ প্রদান করেন এবং ঘটনাস্থলে এস আই উত্তম এর নেতত্বে ধর্ষকদের আটক করতে অভিযান পরিচালনা করেন।বরুড়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফিরোজ হোসেন এর সার্বিক নির্দেশনায় দীর্ঘ ১ ঘন্টার চেষ্টায় এস আই উত্তমের নেতৃত্বে ধর্ষক মোঃ মেহরাজ, রাজু ও মোবাইল দোকানদার শহিদুল ইসলামকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। বরুড়া থানা সূত্রে জানা যায় গত ১৩ জুলাই সন্ধ্যায় একবাড়িয়া বাজারে মোবাইল মেরামত করতে যায় মেয়েটি, তখন মোবাইল দোকানে মেরামত বাবদ বিল ২৫০ টাকা আসে, ১৫০ টাকা দিয়ে বাকী টাকা নাই জানালে দোকানদার খারাপ কাজ করতে দোকানের পিছনে যেতে বলে এতে অনিহা প্রকাশ করায় রাত ৭ টায় দোকানের দক্ষিন পাশে কলা বাগানে নিয়ে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষন করে।পরে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফেরার পথে একবাড়িয়া পাটোয়ারী বাড়ি সংলগ্ন ফাঁকা জায়গায় রাত ৮:৪০ মিনিটে ভয়ভীতি দেখিয়ে মুখ ছেপে ধরে সড়কের পাশে বাঁশ বাগানে নিয়ে যায় পরে মেহেরাজ হোসেন নামে ছেলেটি ছেলে ধর্ষন করে,আর রাজু হাত চেপে ধরে চুমু দেয়।পরে মেয়েটিকে উক্ত ঘটনা কাউকে না জানাতে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।পরে রাত ১০:৩০ মিনিটে বাড়িতে গিয়ে ভিকটিম মেয়ে তার মাকে সব জানায়। এই বিষয়ে ভিকটিমের মা প্রতিবেদককে জানান আমরা গরীব অসহায় মানুষ,আমি অন্যের বাড়িতে কাজ করে খাই,আমি সকলের সাথে আলাপ আলোচনা করে মামলা করব।তাই আমরা আইনের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচার চাই।
এই বিষয়ে ঘটনাটি প্রতিবেদক বরুড়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফিরোজ হোসেনকে অবগত করে বলেন ভিকটিমের বাবা-মার এমন অবস্থা যে থানায় গিয়ে মামলা করার মত সক্ষমতা নেই। তাৎক্ষণিক অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফিরোজ হোসেন জানান ভিকটিমের বাবা-মা থানায় আসা যাওয়া যা খরচ হবে আমি নিজে বহন করব।আমাদের পুলিশের চাকুরীটাই হচ্ছে জনসেবার স্বার্থে তাই আমরা বরুড়া থানার জনগনকে সর্বোচ্চ সেবা দিতে প্রস্তুত।
এই বিষয়ে বরুড়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফিরোজ হোসেন জানান এই বিষয়ে বরুড়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে, আসামী ৩ জনকে গত ১৪ জুলাই আটক করে বরুড়া থানা পুলিশ। আসামীদের প্রাথমিক জবান বন্দি নেয়া হয়েছে, ঘটনাটি শিকার করেছে। পরে আসামীদের আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।