২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

নওগাঁ সদর হাসপাতালে রোগীদের লাঞ্চিত করার অভিযোগ নার্স রুমা ও তার স্বামী শিশির এর বিরুদ্ধে

প্রকাশিত জুলাই ১২, ২০২৩
নওগাঁ সদর হাসপাতালে রোগীদের লাঞ্চিত করার অভিযোগ নার্স রুমা ও তার স্বামী শিশির এর বিরুদ্ধে

Sharing is caring!

স্টাফ রিপোর্টারঃ গত রবিবার( ৮ জুলাই) রাত ৮.৩০ নওগাঁ সদর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তী থাকা রোগীদের ফোন পেয়ে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়। ৭ম তলায় পুরুষ বিভাগে ৭০৭ নং রুমের সামনে কর্তব্যরত নার্স রুমার স্বামী শিশির হাসপাতালে ভর্তি হতে আসা রোগীদের জিম্মি করে চিকিৎসা না দিয়ে উল্টো রোগী ও তাদের সাথে আসা রোগীর লোকজনদের লাঞ্চিত করে বের করে দেওয়াসহ হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন রোগীর স্বজনরা। এছাড়াও হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগী দের হাসপাতালের কোন প্রকার ঔষধ না দিয়ে বাহিরে থেকে কিনতে বাধ্য করছেন কর্তব্যরত নার্স রুমার স্বামী শিশির।

রুগীর কেনা ঔষধ ডিউটিরত নার্স রুমা তার পরিহিত ইউনির্ফমের ডান পকেটে রেখে বাম পকেট থেকে হাসপাতালের সরকারি ওষুধ বের করে রুগী খাওয়ানো ও ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে সে কারনে রুগী ও তাদের লোকজন অভিযোগ তোলেন।
হাসপাতালে জ্বরে ভর্তি থাকা রোগী বোন শারমিন আক্তার বলেন, আমার ভাইকে ভর্তী কারার পর থেকে নার্স কে ডাকলে তিনি আসতেছেন না। হাসপাতালে স্যালোরাইট (০.৯%) স্যালাইন ও আইভি ইনজেকশন থাকার পরেও বাহিরে থেকে আমাকে কিনতে বাধ্য করেছেন নার্স রুমা আমি স্যালাইন হাসপাতালে আছে কি-না জানতে চাইলে তার নার্স এর স্বামি আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং বলে হাসপাতালে থাকা ইচ্ছে থাকলে থাকো না থাকলে বের হয়ে প্রাইভেট ক্লিনিকে গিয়ে চিকিৎসা করো এখানে কোন ঝামেলা করা যাবে না। পরে ঔষধ লেখে দিলে আমি বাহির থেকে স্যালাইন সহ মোট ৫৮৭ টাকার ঔষধ কিনে নিয়ে আসি।
হাসপাতালে জ্বরে ভর্তি থাকা আর এক রোগী সোহেল রানা বলেন, আমার হাতে স্যালাইন দেওয়া আছে স্যালাইন শরীর প্রবেশ বন্ধ হয়ে পরে যাচ্ছে আমি ও আমার সঙ্গে থাকা লোক বারবার ডেকেও কোন নার্স আসেনি। বারবার ডাকার পরে এক ছেলে এসে খারাপ ব্যাবহার করেছে৷ পরে জানতে পারি সে নার্স রুমার স্বামী।
নার্স রুমার সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমার হাসবেন্ড রোগীর সাথে কোন খারাপ ব্যবহার করেনি। সে শুধু একটু জোরে কথা বলেছে। হাসপাতালে থাকা নার্স রুমার স্বামী শিশির কে হাসপাতালে থাকার কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং বলে হাসপাতালে সে থাকতেই পারে রোগীদের সেবা তিনি দিচ্ছেন। তিনি হাসপাতালে কোন পোস্টে চাকরি করে জানতে চাইলে তিনি বিভিন্ন রকম অশ্লীল ও উগ্র মেজাজে কথা বলে এক পর্যায়ে ফেসবুক লাইভে এসে সাংবাদিক কে জিজ্ঞেস করেন সাংবাদিক হাসপাতালে আসার রাইটস্ আছে কিনা। সদর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আর এম ও ডা: মৌমিতা জলিল মুঠোফোনে বলেন, আমি বিষয়টি জেনেছি হাসপাতালে কোন নার্সের স্বামী রুগীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করে হাসপাতালের সন্মান নষ্ট করতে পারেনা এর বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করব।
নওগাঁ সদর হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক ডা: জাহিদ নজরুল চৌধুরী মুঠোফোনে জানান, আমি বিষয়টি জেনেছি প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা নিব।