Sharing is caring!
মোঃ জান্নাত মোল্যা: প্রতিদিনই ভাঙনে বিলীন হচ্ছে যমুনা নদীর দক্ষিণ অংশ। একটু একটু করে আগ্রাসী যমুনা গিলছে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, এনায়েতপুর ও চৌহালির নদী তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকার বসতবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গাছপালা, ফসলি জমিসহ বহু স্থাপনা। এতে ভয়ে-আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে এলাকাবাসীর।
যমুনার ভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়ে নদী পাড়ে এলাকাবাসী। ছবি: সময় সংবাদ
যমুনার ভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়ে নদী পাড়ে এলাকাবাসী।
জানা গেছে, গত কয়েক দিন ধরে বৃদ্ধি পাচ্ছে যমুনার পানি। আর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে রুদ্ররূপ ধারণ করেছে। নদীর অব্যাহত ভাঙনে ভিটেমাটি আর সহায়-সম্বল হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ। আতংকে অনেকেই সরিয়ে নিচ্ছে ঘরবাড়ি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো সময় মতো কাজ না করায় ভাঙন দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্তদের।
শাহজাদপুর উপজেলার হাটপাচিল এলাকার জামিলা খাতুন বলেন, গত এক মাস ধরে আমাদের এখানে ভাঙনে ৩০টার মতো বাড়িঘর নদীতে চলে গেছে। এখনো ভাঙছে। আমরা এখন কোথায় যাবো, আমাদের যাওয়ার কোনো জায়গা নেই।
নদীভাঙনে ভিটে হারা মজনু মিয়া বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড যদি আগে থেকে এখানে ব্যবস্থা নিতো তাহলে আমাদের এতো বড় ক্ষতি হতো না। ঠিকাদাররা ঠিকমতো কাজ করে না। এজন্যই আমাদের এই দুর্দশা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, ভাঙন রোধে জরুরি ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত অংশে বালিভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। পাশাপাশি ওই এলাকায় চলমান রয়েছে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের কাজ, যা আগামী শুষ্ক মৌসুমে পুরোদমে শুরু করা হবে বলেও জানান তিনি।
ভাঙন অব্যাহত থাকলে হুমকির মুখে পড়বে এনায়েতপুর ঐতিহ্যবাহী শাড়ির হাট, বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ জালালপুর, হাটপাচিল, ঘাটাবাড়ি ও আরকান্দির শত শত পরিবার।