২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, ধর্ষকের বাড়িতে ৩ সন্তানের জননীর অনশন

প্রকাশিত জুলাই ৩, ২০২৩
বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, ধর্ষকের বাড়িতে ৩ সন্তানের জননীর অনশন

Sharing is caring!

 

মোঃ ফিরোজ কবির, সুন্দরগঞ্জ গাইবান্ধা: গাইবান্ধা থেকে: গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ৩ সন্তানের জননী কে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে জুয়েল মন্ডল রহিম (২০) নামের এক কলেজ ছাত্রের বিরুদ্ধে। বিয়ের দাবিতে ওই গৃহবধূ জুয়েল মন্ডলের বাড়িতে গতকাল রবিবার থেকে অনশনে বসেছে। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হওয়ায় প্রেমিক রহিমের বাড়িতে উৎসুক মানুষের ভিড় জমেছে।

অভিযুক্ত কলেজ পড়ুয়া জুয়েল মন্ডল রহিম উপজেলার ইদিলপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। অবস্থা বেগতিক দেখে কথিত প্রেমিক রহিম বাড়ি থেকে লাপাত্তা রয়েছে।

মনজিলা বেগম পার্শ্ববর্তী পলি লক্ষীপুর গ্রামের কাঠ মিস্ত্রি আলমগীর হোসেনের স্ত্রী ও তিন সন্তানের জননী।

স্থানীয়রা জানান, রহিমের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন মনজিলা। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (১ জুলাই) রাত ১০টার দিকে রহিম মনজিলার সঙ্গে দেখা করতে যায়। এসসয় শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনা স্বামী আলমগীর টের পেয়ে তাদের হাতে-নাতে ধরে ফেলে। পরে ঘটনা নিয়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য-সদস্যসহ এলাকাবাসী রাতভর দেনদরবার করেও কোনো সুরাহা টানতে পারেনি। অবশেষে স্বামী আলমগীর সংসার করবে না বলে স্ত্রী মনজিলাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। বাধ্য হয়ে মনজিলা বেগম কলেজ পড়ুয়া প্রেমিক রহিমের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান করতে থাকে। এই অবস্থা বেগতিক দেখে স্বজনদের সহযোগিতায় রহিম বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে।

মনজিলা বেগম বলেন, বিয়ের প্রলোভনে রহিম আমার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এখন বিয়ে না করা পর্যন্ত আমি এই বাড়ি ছাড়ব না।

এ বিষয়ে ইদিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান বলেন, এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গ্রামপুলিশের পাহাড়ার ব‍্যবস্থা করা হয়েছে। এ ঘটনার যে কোনো একটা সমাধান করার চেষ্টা করা হবে।এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করতেছে।