২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

টাংগাইলের নাগরপুরে প্রবাসীর স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু,১২ বছরের মেয়ে নিখোঁজ।

প্রকাশিত জুলাই ২, ২০২৩
টাংগাইলের নাগরপুরে প্রবাসীর স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু,১২ বছরের মেয়ে নিখোঁজ।

Sharing is caring!

মোঃ শফিকুল ইসলাম সবুজ (টাঙ্গাইল)

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে প্রবাসীর স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু,১২ বছরের মেয়ে নিখোঁজ। রবিবার বিকেলে নাগরপুর উপজেলা সদর ইউনিয়নের কলেজ পাড়া নিজ বাসায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম শাহনাজ আক্তার (৩৫) উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নের সলিমাবাদ গ্রামের সৌদী প্রবাসী মোশারফের স্ত্রী। এঘটনায় নিহতের কিশোরী কন্যা ফারজানা আক্তার নিখোঁজ রয়েছে।
নিহতের পিতা আব্দুল বাতেন জানান, আমার মেয়ের জামাই অনেক বছর ধরে বিদেশে থাকে। তাঁর দুই ছেলে ও এক মেয়ে এক ছেলে বিদেশে থাকে। অপর ছেলে ঢাকায় চাকরি করে। মেয়ে দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। মেয়েকে নিয়ে উপজেলা সদরের নিজেদের চারতলা বাড়ির চারতলায় বসবাস করত। মেয়ে ও নাতীদের সাথে কারো কখনও ঝগড়া বিবাধ ছিলনা। কিভাবে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটল কিছুই বুঝতে পারছিনা। বিকেলে মেয়ের সাথে কথা হয়েছে। ফজরের নামাজের পর মেয়েকে ফোন দিয়ে আর পায়নি। দুপুরে মৃত্যু খবর পাই। ঘটনার পর থেকে নাতনিও নিখোঁজ রয়েছে। তবে কেউ হত্য কান্ড ঘটিয়ে নাতনিকে তুলে নিয়ে গেছে বলে সন্দেহ হচ্ছে। আমি পুলিশের কাছে এই ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও নিখোঁজ নাতনীকে দ্রুতখুঁজে বের করার দাবি জানাচ্ছি।
ওই বাসার ভারাটিয়া অপু আক্তার বলেন, দুপুরে চারতলায় পানি আনতে গিয়ে দেখতে পাই চারতলার দরজা খোলা। শাহনাজ আপার লাশখাটের উপর পরে রয়েছে। তাঁর মেয়ে রুমে নেই। পরে আমরা পুলিশকে খবর দেই। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
নাগরপুর থানার পরির্দশক (তদন্ত) হাসান জাহিদ সরকার জানান, খবর পেয়ে দুপুরে নিহতের লাশ উদ্বার করে পুলিশ। নিহতের গলায় ফাঁস লাগানোর চিহৃ রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানান।