২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

নাচোলে ফেসবুকের কল্যাণে বাসস্থান পেতে যাচ্ছে ছিন্নমূল ভাসমান ১টি পরিবার

admin
প্রকাশিত আগস্ট ২০, ২০১৯
নাচোলে ফেসবুকের কল্যাণে বাসস্থান পেতে যাচ্ছে ছিন্নমূল ভাসমান ১টি পরিবার

Sharing is caring!

 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ফলে যে উপকার হয় সেটি আরেকবার প্রমানিত হতে যাচ্ছে। একটি স্ট্যাটাসে বদলে যাচ্ছে একটি ছিন্নমূল ভাসমান পরিবারের জীবন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার কসবা ইউনিয়নের কালইর বাজারের রেল স্টেশনের পাশে প্রায় ১০ বছর ধরে একটি ছিন্নমূল ভাসমান পরিবার বসবাস করে আসছে। ছোট্ট একটু খোলাস্থানে পলেথিন দিয়ে ঘর বানিয়ে ৪শিশু ও স্বামী-স্ত্রী বসবাস করে করছে রেল লাইনের ধারে ফাঁকা জায়গাটাতে। দরিদ্র ও অসহায় পরিবারটির এমমাত্র উপার্জন করে মো. জানু মিয়া। তিনি ভাংড়ির ব্যবসা করেন। যা উপার্জন করেন খেয়ে না খেয়ে দিন পার করেন তা দিয়েই। পরিবারে ৪টি ছোট ছোট শিশু সন্তান। ২ বছর থেকে ১২ বছর বয়সী সকলে। এর মাঝে একটি সন্তানকে হারিয়ে ফেলেছে। ১০ বছর আগে কুষ্টিয়ার মিরপুর থেকে ঘুরতে ঘুরতে নাচোলে বসবাস শুরু করেন। দুঃখের বিষয় ২০১৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর নাচোলের ভোটার হয়েও সরকারি কোন সুযোগ সুবিধা এখন পর্যন্ত পায়নি পরিবারটি।
ভোটার আইডিতে মো. জানু, পিতা-ইন্তাজ আলী। ঠিকানা- গ্রাম/রাস্তা : গোয়ালবাড়ী স্টেশন, ডাকঘর : উজিরপুর-৬৩১০, নাচোল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ঠিকানা দেয়া আছে। তারা স্বামী-স্ত্রী ২০১৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর নাচোলের ভোটার হন। জানুর স্ত্রীর আইডিতে মোসা. হারুনা, পিতা : হাতেম আলী, মাতা : বেগম ঠিকানা- গ্রাম/রাস্তা : গোয়ালবাড়ী স্টেশন, ডাকঘর : উজিরপুর-৬৩১০, নাচোল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ঠিকানা দেয়া আছে।
গত বৃহস্পতিবার এএসআই ওমর ফারুক এ পরিবারটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজস্ব ওয়ালে একটা স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাসটি দেবার কয়েক ঘন্টা পরে তা চোখে পড়ে নাচোল নিউজ ডট কমের সম্পাদক হাবিবুল্লাহ্ সিপনের। সিপন স্ট্যাটাসটি দেখার পরেই সে পরিবারটিকে দেখতে ছুটে যান নাচোল উপজেলার কসবা ইউনিয়নের কালইর বাজারের রেল স্টেশনের পাশে পলিথিনের ঘরে বসবাস করা জানু ও হারুনার পরিবারকে। তাৎক্ষণিক কিছু খাবার ও নগদ কিছু আর্থিক সহায়তা করলেন।
এ বিষয়ে সিপন জানান, মানবিক বোধ থেকে অসহায় পরিবারটির কাছে ছুটে গেছি। ওরা এখন নাচোলের ভোটার। আমি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবিহা সুলতানাকে জানিয়েছি। এ বিষয়ে তিনি সোমবার আমাকে অফিসে ডেকেছেন। আশাকরি পরিবারটির জন্য সরকারি যা সুযোগ-সুবিধা আছে তা পাবে। অসহায় ছিন্নমূল পরিবারটির একটি মাথা গোঁজার জন্য জমি ও ঘর দরকার। ওদের জন্য প্রশাসনের সহায়তায় কিছু করতে পারলে ভাল লাগবে। আমাদের সকলের সহযোগীতায় একটি ছিন্নমূল ভাসমান পরিবার নিজস্ব বাড়ি একটি ঠিকানা পাবে। [কপোত নবী, ১৮ আগস্ট-২০১৯]