Sharing is caring!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীর যুক্তরাষ্ট্রে স্টেট ভিজিট বা রাষ্ট্রীয় সফরে দুই দেশের মধ্যে একাধিক চুক্তি, সমঝোতা সই ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে বলছে, দুই দেশের মধ্যে যেসব চুক্তি ও সমঝোতা সই হয়েছে, তার মধ্যে অনেকগুলোই সামরিক।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান জেনারেল মোটরস ঘোষণা করেছে, তারা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকস লিমিটেড বা হ্যালের সঙ্গে মিলে ভারতীয় বিমানবাহিনীর জন্য জেট ইঞ্জিন তৈরি করবে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশকে এই উচ্চ প্রযুক্তি দেয়নি। এই জেট ইঞ্জিন ভারতীয় বিমানবাহিনীকে প্রযুক্তিগত দিক থেকে এগিয়ে রাখবে বলে দাবি করা হচ্ছে।
তিনটি মার্কিন সেনা কমান্ডে যোগাযোগকারী অফিসার নিয়োগ করবে ভারত। গোয়েন্দা তথ্যের বিনিময় ও সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য এই সিদ্ধান্ত। যুক্তরাষ্ট্রের চিপ উৎপাদক কোম্পানি মাইক্রন গুজরাটে একটি চিপ তৈরির কারখানা নির্মাণ করবে। তাতে ২৭৫ কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হবে।
টেসলার প্রধান ইলন মাস্ক আগেই জানিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব তিনি ভারতে টেসলা গাড়ি তৈরির কারখানা করবেন। সূত্রের খবর, দুই দেশই একটি করে কনস্যুলেট খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারত সিয়াটেলে এ কনস্যুলেট খুলবে। আবার ২০২৫ সালের মধ্যে চাঁদে আবারও মানুষ পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র। ভারতও তাতে সামিল হবে। বাইডেন জানিয়েছেন, ২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে ভারতের একজন মহাকাশচারী পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র।
ভারতকে যুক্তরাষ্ট্র যাতে ফাস্ট ট্র্যাকে অস্ত্র দিতে পারে সেজন্য সিনেট ও হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে বিল এনেছেন কয়েকজন পার্লামেন্ট সদস্য। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই দেশই বাণিজ্য বাড়াবে। ২০১৪ এর তুলনায় ২০২২ এ বাণিজ্যের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে। সেটা আরও বাড়ানো হবে।
মোদী যা বলেছেন: মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে মোদী পাকিস্তানকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের প্রশ্নে কোনো ‘যদি’ বা ‘কিন্তু’ থাকতে পারে না। কোনো রাষ্ট্র যদি সন্ত্রাসবাদকে মদত দেয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
চীনের নাম উল্লেখ না করে মোদী বলেছেন, ইন্দো-প্যাসিফিকের উপরে কালো মেঘ জমেছে, সংঘাতের কালো মেঘ। জাতিসংঘের চার্টারের উল্লেখ করে মোদী বলেছেন, দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা বজায় রেখে সব সমস্যার সমাধান আলোচনার মাধ্যমে করতে হবে।
নরেন্দ্র মোদীর সম্মানে দেওয়া জো ও জিল বাইডেনের নৈশভোজে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন মুকেশ আম্বানি, সুন্দর পিচাই, ইন্দ্রা নুয়ি, সত্য নাদেলা, অ্যাপেলের সিইও টিম কুক। ছিলেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, পররাষ্ট্রসচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা। আরও উপস্থিত ছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন, সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি, কংগ্রেস সদস্য রো খান্না, রাজা কৃষ্ণমূর্তি প্রমুখ।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে