৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

চবিতে সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার

প্রকাশিত জুন ২৩, ২০২৩
চবিতে সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার

Sharing is caring!

চবি প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) তুচ্ছ ঘটনায় এক সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করেছে প্রশাসন। তবে এ সিদ্ধান্তকে নিছক লোক দেখানো বলছে বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (চবিসাস)।

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বহিষ্কার চলাকালীন কোনো শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা বা অন্য কোনো অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলেও অবস্থান করতে পারবেন না।

বহিষ্কৃতরা হলেন- চবি ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক ও আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী খালেদ মাসুদ, শাখা ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ও সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী আরাফাত রায়হান।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চবি প্রক্টর ড. মোহাম্মদ নূরুল আজিম সিকদার জানান, বুধবার তদন্ত কমিটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় দোষীদের বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কারাদেশ এখন থেকে কার্যকর হবে।

তবে প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্ত লোক দেখানো বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইমাম ইমু।

তিনি বলেন, বিচারের নামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের সঙ্গে প্রহসন করেছে। আমরা এ ধরনের বিচার চাইনি। এটা নিছক লোক দেখানো। এ বহিষ্কারাদেশ প্রমাণ করে প্রশাসন অপরাধীদের কাছে জিম্মি। মনে হচ্ছে অপরাধীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের চেয়ে শক্তিশালী। আমরা এ রায়ে কোনোভাবেই সন্তুষ্ট না। আমরা আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাবো।

গত ১৯ জুন রাতে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্য ও দৈনিক আমাদের নতুন সময় প্রতিনিধি দোস্ত মোহাম্মদকে মারধর করে ছাত্রলীগের ১০-১২ জন নেতাকর্মী। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনা তদন্তে ২০ জুন তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।