Sharing is caring!
বরুড়ায় ১২ বছরের শিশুকে ধর্ষণ; ৫৬ বছরের বৃদ্ধ আটক
স্টাফ রিপোর্টারঃ কুমিল্লা জেলা বরুড়া উপজেলার ঝলম ইউনিয়নের বেওলাইন গ্রামের ১২ বছরের শিশু ৫৬ বছরের বৃদ্ধের হাতে ধর্ষণের স্বীকার হয়েছে। এই গ্রামের ধর্ষক মো. রুহুল আমিন (৫৬) কে বেওলাইন গ্রাম থেকে আটক করেছে বরুড়া থানার পুলিশ।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে বরুড়া থানার এসআই ফখরুল সঙ্গীও ফোর্স নিয়ে (৮ই জুন) বৃহস্প্রতিবার বিকাল ৪টায় দিকে বেওলাইন গ্রামে অভিযান চালিয়ে ধর্ষক মো. রুহুল আমিনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। পরে ধর্ষক মো. রুহুল আমিনকে শুক্রবার (৯ই জুন) দুপুরে কুমিল্লা কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়।
শুক্রবার (৯ই জুন) দুপুর ৩টায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে বরুড়া থানায় ঝলম ইউনিয়নের বেওলাইন গ্রামের মৃত আঃ হকের ছেলে ধর্ষক মো. রুহুল আমিনের নামে মামলা করেন।
গত ৪ই জুন (রোববার) হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে শিশুটির পরিবার স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। সেখানে তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ প্রদান করে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাওয়ার পর পরীক্ষা করে কর্তবরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হসপিটালের চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ধর্ষনের বিষয়টি নিশ্চিত হন। তারপর ভোক্তভোগী শিশুর পরিবারকে বিষয়টি জানান। ভোক্তভুগী শিশুটি এখন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হসপিটালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২১শে মার্চ (রোজা শুরু হওয়ার ২দিন আগে) মঙ্গলবার ভোর আনুমানিক ৬টায় দিকে উপজেলার ঝলম ইউনিয়নের বেওলাইন গ্রামে ১২ বছরের শিশুকে গোয়ালঘরের পেছনে খোলা জায়গায় ধর্ষন করে। অভিযোগে আরও বলা হয় ঐ দিন শিশুটি গোয়াল ঘরের পিছনে গাব কুড়াতে গিয়েছে। ঐখানে ঘাপটি মেরে বসে ছিলো ধর্ষক রুহুল আমিন। মেয়েটির মুখে চাপ দিয়ে মাটিতে শুয়াইয়া ধর্ষন করা হয়।
বরুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফিরোজ হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, উপজেলার বেওলাইন গ্রামের ১২ বছরের শিশু ৫৬ বছরের বৃদ্ধের হাতে ধর্ষণের স্বীকার হয়েছে।
শিশুটির বাবা বাদী হয়ে বরুড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু করেছেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষককে আটক করে জেল হাজতে পেরণ করা হয়।