Sharing is caring!
মোঃ জুনায়েদ হাসান (স্টাফ রিপোর্টার)
নেত্রকোনার পূর্বধলায় কিশোরীকে ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পূর্বধলা থানা পুলিশ।
নেত্রকোনা পুলিশ সুপার মোঃ ফয়েজ আহমেদের স্পেশাল নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ হারুন উর রশিদ এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল জনাব শিবলী সাদিকের তত্ত্বাবধানে পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম ঘাগড়া এলাকা থেকে শনিবার (৩ জুন) বিকেল ৩ টার দিকে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি শ্রী রমেশচন্দ্র সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিশেষ সূত্রে জানা যায়, পূর্বধলা থানার ঘাগড়া এলাকার হোসেন আলীর মেয়ে হাসিনা খাতুন উরফে বন্যা আক্তার (১৮) কে একই এলাকার শ্রী রমেশচন্দ্র সরকার তাকে ধর্ষণ করে, এই ব্যাপারে ধর্ষিতার চাচা কাসেম আলী বাদী হয়ে ১২/০৬/২০০২ সালে পূর্বধলা থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন, এই মামলার তদন্তকারী অফিসার ছিলেন তৎকালীন এসআই রফিকুল ইসলাম মামলা তদন্ত শেষে ১২ সেপ্টেম্বর ২০০২ সালে বিজ্ঞ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন, পরবর্তীতে নারী ও শিশু আদালতের বিচারক ১৮ মে ২০১৬ সালে শ্রী রমেশ চন্দ্র সরকারকে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেন।
পুলিশ জানায়, ২০০২ সালের ১২ জুন পূর্বধলার ঘাগড়া এলাকার হোসেন আলীর মেয়ে হাসিনা খাতুন ওরফে বন্যা আক্তার (১৮)কে ধর্ষণ করেন একই এলাকার শ্রী রমেশ চন্দ্র সরকার। এ ঘটনায় বাদী হয়ে ঐ দিনেই ধর্ষিতার চাচা বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা করেন। এরপর থেকে পলাতক ছিলেন ধর্ষণকারী শ্রী রমেশ চন্দ্র সরকার।
এ ব্যাপারে পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম এই প্রতিনিধিকে বলেন, শ্রী রমেশ চন্দ্র সরকার দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। সাজা থেকে বাঁচতে তিনি বিভিন্ন ছদ্মবেশে ঘুরতেন।
আমাদের অভিভাবক সুযোগ্য পুলিশ সুপার মোঃ ফয়েজ আহমেদ স্যারের স্পেশাল নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ হারুন উর রশিদ এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল জনাব শিবলী সাদিকের তত্ত্বাবধানে শনিবার(৩ জুন) দুপুরে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।