Sharing is caring!
মোজাম্মেল হক লিটন, নোয়াখালী প্রতিনিধি:নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চাটখিল সাব স্টেশন-১ ও ৩ চাহিদার ৪০শতাংশ বিদ্যুৎ পাচ্ছে না বলে বিদ্যুৎ অফিস দাবি করছে। ফলে দুই স্টেশনের ১০টি ফিডারের মধ্যে ইচ্ছাকৃতই ৪টি ফিডার বন্ধ রাখতে হয়। এতে করে শিডিউল লোডশেডিং দিয়েই বিদ্যুৎ বিতরণ করা হচ্ছে। তবে চাটখিল পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের অদক্ষতায় সঠিক শিডিউল নির্ধারণ করতে না পারায় জনভোগান্তি চরম রূপ ধারন করেছে। উপজেলা সদর ও পৌর শহর এবং গ্রামের সমন্বয় বিবেচনায় লোডশেডিং শিডিউল নির্ধারণ করা হলে জনভোগান্তি কিছুটা কমবে বলে আশা করছে স্থানীয়রা।
শিডিউল লোডশেডিংয়ে দিনে ৫/৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকলেও রাতে এটি বেড়ে ৭/৮ঘন্টায় দাঁড়ায়। ফলে গভীর রাতেও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গরমে অতিষ্ঠদের গাছতলায়, পুকুর পাড়ে বসে রাত কাটাতে দেখা যায়। আবার অন্ধকারে বেড়েছে অপরাধের মাত্রা। অব্যাহত গরম আর দীর্ঘ লোডশেডিংয়ের ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এবিষয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার গ্রাহকরা ফেসবুক সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে অনেকেই পোস্ট করেছেন।
চাটখিল উপজেলা বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিক মালিক সমিতির সহ-সাধারন সম্পাদক ও চাটখিল ইসলামিয়া ডায়াবেটিস স্টোরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ রহমত উল্যাহ স্থানীয় এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পৌর মেয়র সহ সংশ্লিষ্টদের বিদ্যুৎ বিভাগের অতিষ্ঠ থেকে চাটখিল বাসীকে মুক্তি দিতে অনুরোধ করে নিজ নামীয় ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে । তার পোস্টে ফজলে এলাহী চৌধুরী নামে একজন নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনের সংসদ সদস্য এইচ.এম ইব্রাহিম এর ভেরিফ্রাইড আইডি ম্যানশন দিয়ে লেখেন- মাননীয় এমপি মহোদয় এর সহযোগিতা কামনা করছি।
এবিষয়ে মঙ্গলবার সকালে চাটখিল পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) খালিদ হাসান এর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি অব্যাহত গরম আর দীর্ঘ লোডশেডিংয়ের ফলে জনভোগান্তির কথা স্বীকার করে বলেন, তিনি চাহিদার পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ পান না তাই লোডশেডিং করতে হচ্ছে। পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ পাওয়া গেলে লোডশেডিং কমে আসবে বলে তিনি জানান।