Sharing is caring!
একটা প্রশ্ন সবসময় আমি নিজেকে করি, করি অন্য সাংবাদিকদেরও। অনেকেই অনেক কথা বলেন। তবে আমার ব্যাক্তিগত অভিমত হলো, সাংবাদিকতা যতোটা না পেশা তার চেয়ে অনেক বেশি নেশা, ভালোলাগা ও ভালোবাসার মাধ্যম। এই নেশাটা হচ্ছে দেশের জন্য, মানুষের জন্য কিছু করার নেশা। আমার মনে হয়, একজন চিকিৎসক যেভাবে মানুষের সেবা করতে পারেন তার চেয়ে অনেক বেশি সেবা করতে পারেন একজন সাংবাদিক। কোন সাংবাদিকের এই নেশা কেটে গেলে তিনি তখন যতোটা না সাংবাদিক থাকেন তার চেয়ে বেশি চাকুরিজীবী।
আবারো বলছি-সাংবাদিকতা কোন চাকুরি নয়, এটি এক ধরনের ভালোলাগা, এক ধরনের নেশা। এ নেশা ভালো কিছু করার। পৃথিবীর আর কোন পেশাতেই এতো স্বাধীনতা ও মানুষের জন্য কিছু করার এমন সুযোগ আর পাওয়া যাবে না। আর তাই সাংবাদিকতা ছেড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, পুলিশ কিংবা প্রশাসনের বড় কর্তা হওয়ার পরেও কারো কারো এই পেশার প্রতি টান থেকে যায় আর তারা সব ছেড়ে আবারো ফিরে আসে সাংবাদিকতায়। আমি জানি এই নেশা কতোটা তীব্র। আর সে কারণেই আমি আজীবন সাংবাদিক থাকতে চাই। চাই নেশাটা থাকুক আজীবন আর এই নেশা ছড়িয়ে পড়ুক সব সাংবাদিকের মধ্যে।
আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য কতিপয় ভূইফোড় সাংবাদিকরা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আপনাদের ইতোপূর্বে একটা স্ট্যাটাস দিয়ে জানিয়েছিলাম যে, একজন সাংবাদিক আমার সুনাম নষ্ট করার জন্য একটি ভুয়া নিউজ শেয়ার করে। অথচ ওই সাংবাদিকের ২০ বছর আগে থেকেই বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সাংবাদিকতা করে আসছি। আমি ১৯৮৭ সালে ম্যাট্রিক পাশ করেই, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি কলেজে ভর্তি হই, সে সুবাধে পরিচয় হয় তৎকালীন বিশিষ্ট সাংবাদিক মিজানুর রহমান কুটু ভাইয়ের সাথে। আমার নেশা দেখে প্রিয় কুটু ভাই তৎসময়ে সম্পাদিত “সাপ্তাহিক বিশেষ প্রতিবেদন” পত্রিকায় লেখার সুযোগ করে দেন। অতপর হাঁটি হাঁটি পথ চলা। জীবনে অনেক পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয়েছে। অনেকে হুমকি দিয়েছে। মিথ্যা মামলা করেছে। অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার মাধ্যমে নানান চড়াই-উৎরাই পার হয়ে যখন চরম শিখরে, তখনই স্বার্থ চরিতার্থ করার হীন চক্রান্তে মেতে উঠে কতিপয় সাংবাদিক নামধারী একটি কুচক্রীমহল।
তদূপরি, এই মহৎ পেশা সাংবাদিকতা থেকে দূরে রাখতে পারেনি আমাকে। কারণ, সাংবাদিকতা আমার নেশা। আমার পারিবারিক অবস্থা আল্লাহর রহমতে ভালো। আমাকে সংসার চালাতে কারো কাছে হাত পাততে হয় না। কাউকে প্রতারণাও করতে হয় না। বাবা জাতি গড়ার কারিগর হিসেবে দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেছেন। বর্তমানে বাবা হজ্ব করে এসে বার্ধক্যে ভূগছেন। আমার সম্পর্কে অজানা কারো নয়, সবাই জানেন।
বর্তমানে আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্রের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। কারণ আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ প্রতিবাদী কন্ঠস্বর। প্রতিবাদী কন্ঠস্বর ইয়াবা, ফেন্সিডিল সকল মাদক ব্যবসায়ী, অনিয়ম-দুর্নীতির বরপুত্র, সহ সমাজের জঘন্যতম ব্যাক্তিদের। আমি কোনদিন কাউকে হুমকি দিয়ে একটি পয়সাও হারাম খাইনি। যায়নি কোনদিন বালু মহলে ধান্দা করতে। তবে আমার লেখা সত্য বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে অনেকের চক্ষুশূল হয়েছি।
“চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর খুঁটির জোর কোথায়!, চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিআরটিএ অফিসে অদম্য দুর্নীতি, অনিয়ম ও দুর্নীতির আখড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ কারাগার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সওজে’র দায়িত্বহীনতায় শিবগঞ্জ বেলী ব্রিজ মরনফাঁদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস এখন দালালদের দখলে, শিবগঞ্জ থানার ওসির বিরুদ্ধে রমরমা গ্রেফতার বানিজ্যের অভিযোগ, বারোঘরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারের দ্বন্দে ৪ মাস থেকে ভিজিডি চাল বিতরন বন্ধ, চাঁপাইনবাবগঞ্জে অবৈধ ইট ভাটায় পুড়ছে কাঠ, উজার হচ্ছে আম বাগান, সদর সাবরেজিস্টারের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ, নাচোল পরিবার পরিকল্পনা ডাক্তারের অফিস না করেই বেতন উত্তোলনের অভিযোগ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৪ টি নদী এখন মৃতপ্রায় খাল ও আবাদি ভূমি, স্কুল বন্ধ করে ছাত্রীদের বাধ্যতামূলক এমপির অনুষ্ঠানে যোগদান” শিরোনামে আমার লেখা অসংখ্য নিউজ ভক্ত পাঠকদের মনে দোলা দেয়।
তারপরেও কেন আমার বিরুদ্ধে এত ষড়যন্ত্র? সর্বশেষ আমার গুরুত্বপূর্ণ ইমেইল আইডি হ্যাক করে আমাকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করেছে। আমি মহান আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখি। তার উপর আস্থা রয়েছে। যারা আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করছে একদিন তারা নিজেদের ক্ষতি করবে। অন্যায় কে কখনো প্রশ্রয় দেইনি, দেব না।
আমি আইনি প্রক্রিয়ায় ষড়যন্ত্রকারীদের মোকাবেলা করব। কারণ, দেশের সুনাগরিক ও জাতির বিবেক হিসাবে আইনের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। সবাই আমাকে দোয়া ও সহযোগিতা করবেন। পাশেও থাকবেন এ প্রত্যাশা রইল চাঁপাইনবাবগঞ্জের সকল মানুষের কাছে।
দোয়া কামনায়ঃ
সাংবাদিক ফয়সাল আজম অপু-০১৭১২৩৬৩৯৪৬
নির্বাহী সদস্য, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম, কেন্দ্রীয় কমিটি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি, এশিয়ান টেলিভিশন, জাতীয় দৈনিক প্রথম ভোর, রাজশাহী সংবাদ।
বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা ও অনলাইন টাইমস টোয়েন্টিফোর ডটনেট, দৈনিক সময় সংবাদ, দৈনিক উপচার ও জাতীয় সাপ্তাহিক অপরাধ অনুসন্ধান।
সাংবাদিক ফয়সাল আজম অপু———-