Sharing is caring!
আব্দুল করিম চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি ঃ-
চট্টগ্রামে ভোগ্যপণ্যের বৃহৎ পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জে এখনো বেড়েই চলেছে পেঁয়াজের দাম। তবে কিছুটা কমেছে আদা-রসুনের দাম। সংশ্লিষ্টরা জানান, কোরবানির ঈদ এলেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য তিনটির দাম বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরাও কারসাজি করে দাম বাড়ান। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ বছর পেঁয়াজ, রসুন এবং আদার আমদানি কম হয়েছে। তাই বাজারে যে পরিমাণ চাহিদা ছিল তারচেয়ে সরবরাহ ঘাটতি ছিল। ফলে এখনো উঠানামা অব্যাহত আছে। চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫ টাকা বেড়ে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ৩২ টাকা। এছাড়া আদা ১৪০ টাকা এবং রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা দরে।
আড়তদাররা জানান, সাতক্ষীরার ভোমরা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থল বন্দর দিয়ে সামপ্রতিক সময়ে পেঁয়াজের সরবরাহ
কমে গেছে। এছাড়া বাজেটে পেঁয়াজ-রসুন এবং আদার আমদানিতে ৫ শতাংশ অগ্রিম কর সংযোজন করার কারণে মূল্য বৃদ্ধিতে প্রভাব পড়েছে। যার ফলে কোরবানির এক মাস আগে থেকে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দামে প্রভাব পড়তে শুরু করে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্তমানে দেশে তাহেরপুরী, বারি-১ (তাহেরপুরী), বারি-২ (রবি মৌসুম), বারি-৩ (খরিপ মৌসুম), স্থানীয় জাত ও ফরিদপুরী পেঁয়াজ উৎপাদন করা হয়। ফলে বছরজুড়েই কোনো না কোনো জাতের পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে। দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২২ লাখ টন। এর মধ্যে ১৮ লাখ টন স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হয়। আর আমদানি করা হয় বাকি চার লাখ টন। মূলত এই আমদানিকৃত চার লাখ টন পেঁয়াজ বাজারের ওপর খুব বড় প্রভাব পড়ে। জানতে চাইলে চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি সোলায়মান বাদশা বলেন, বাজেটে পেঁয়াজ-রসুন এবং আদার আমদানিতে ৫ শতাংশ অগ্রিম কর সংযোজন করার পর থেকেই মূলত বাড়ছে এসব পণ্যের দাম। তবে ভারত থেকে পেঁয়াজ সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। স্থল বন্দরগুলোতে থেকে প্রতিদিন প্রচুর পেঁয়াজবাহী ট্রাক দেশে প্রবেশ করছে।
খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজ-রসুন ও আদার আড়ত হামিদুল্লাহ মিয়া বাজার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি কমে গেছে। ফলে বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি রয়েছে। এর প্রভাবে আবারও পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করেছে। তবে গত দুইদিন ধরে কমতে শুরু করেছে আদা রসুনের দাম।