রাজশাহীর বাজারে অসময়ে দেখা মিলছে মধুমাস জ্যৈষ্ঠের অন্যতম রসালো ফল লিচু। বেশি দামের আশায় সামান্য রঙ আসতে না আসতেই গাছ থেকে লিচু পাড়তে শুরু করেছেন কিছু ব্যবসায়ী। এসব লিচুর আকার ও স্বাদ নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। দামও বেশ চড়া। আর এখনই লিচু না কেনার পরামর্শ দিচ্ছেন রাজশাহী ফল গবেষণাকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা।
তারা আরও জানিয়েছেন, এখন কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো ছাড়া লিচু পাকবে না।
রোববার মহানগরীর সাহেববাজার ও কোর্টবাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা ব্যবসায়ীরা প্রতি ১০০ লিচুর দাম হাঁকছেন ৩০০ থেকে সাড়ে ৪০০ টাকা পর্যন্ত। লিচুগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে, সামান্য রঙ এসেছে। কিন্তু পুষ্ট হয়নি। ব্যবসায়ীরাও টকমিষ্টি লিচু বলেই বিক্রি করছেন।
লিচু ব্যবসায়ী আকবর আলী জানান, তিনি লিচুগুলো শহিদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যানের গাছ থেকে কিনে এনেছেন। লিচুগুলোতে রং এসেছে। খাওয়া যাবে। কিন্তু তেমন মিষ্টি হবে না টক হবে!
আরেক ব্যবসায়ী কামাল হোসেন জানান, তিনি নগরীর মির্জাপুর এলাকার একটি বাগান থেকে লিচু কিনে এনেছেন। লিচুগুলো টকমিষ্টি। আর নতুন ফল, দাম একটু বেশিই হবে।
এদিকে রাজশাহী ফল গবেষণাকেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. শফিকুল ইসলাম জানান, সবার আগে বারি-১ লিচু পাকে। তবে এখনো এই লিচু পরিপক্ব হওয়ার সময় হয়নি। মে মাসের মাঝামাঝি থেকে লিচু বাজারজাত করার মতো হবে। এখন লিচু পাকবে না। বাজারে যেগুলো পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলো কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো হতে পারে। এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। শুধু লিচুই নয়; সাহেববাজারের দু’একজন দোকানি পাকা আমও বিক্রি করছেন। যেগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে, ফল পরিপুষ্টই হয়নি।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ রাজশাহীর কর্মকর্তা শাকিল আহম্মেদ বলেন, এখন তো অগ্রিম লিচুও পাকবে না। কেউ অপরিপক্ব লিচুকে কেমিক্যাল দিয়ে পাকিয়ে বিক্রি করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি আমরা দেখব।