Sharing is caring!
স্টাফ রিপোর্টারঃ ফরিদপুরের ভাঙ্গার কুমার নদীর পাড় থেকে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে শত শত ট্রাক মাটি বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে চুমুরদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহাগের বিরুদ্ধে। সে জনগণের রাস্তা নির্মাণ কথা বলে প্রতিদিন শত শত ট্রাক মাটি অনত্র বিক্রি করে নিজের পকেট ভারি করেছে। তবে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়ে তিনি অস্বীকার করেছেন।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন , পুর্ব সদরদী ব্রিজ থেকে চুমুরদী হাট পর্যন্ত জনগণের চলাচলের জন্য নতুন রাস্তা কাটছেন ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সোহাগ। কিন্তু তিনি জনগনের রাস্তা কাটার নাম করে সরকারি কুমার নদীর পাড় থেকে প্রতিদিন শত শত ট্রাক মাটি অনত্র বিক্রি করে নিজের পকেট ভারি করছে। এতে পানি উন্নয়ন বোর্ড বা সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
রঙ্গু নামের এক ব্যাক্তির অভিযোগ করেন, ১২ফিট রাস্তা কাটার কথা, সেখানে চেয়ারম্যান কাটছে ৬/৮ ফুট। রাস্তার নামে প্রতিদিন গড়ে ২/৩ লক্ষ টাকার মাটি বিক্রি করে । সেই মাটি বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করিতেছে। কেহ বাধা দিলে তাদেরকে সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা হুমকি সহ বিভিন্ন ভয়-ভীতি প্রদর্শন করতেছে। বিষয়টি জনস্বার্থে প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে বাঁচবে কুমার নদী ও উপকৃত হবে গ্রামবাসী।
এবিষয় চুমুরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সোহাগ বলেন, এপি নিক্সন চৌধুরী ও স্থানীয় প্রশাসনের সাথে কথা বলে জনগণের চলাচলের জন্য একটি রাস্তা নির্মাণ করছি। এই রাস্তায় কোন সরকারি বাজেট বরাদ্দ নাই । তাই বেকু ও শ্রমিকদের খরচের জন্য কিছু মাটি অনত্র বিক্রি করছি। এই মধ্যে কিছু টাকা সরকারি কর্মচারী ও সাংবাদিকদের দিয়েছি।
তবে এবিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আজিম উদ্দিন বলেন, জনস্বার্থে নদীর পাড় দিয়ে নতুন একটি কাচাঁ রাস্তা নির্মাণ করার মৌলিক অনুমতি নিয়েছে। সেখানে কোন বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হয় নাই। কিছু মাটি খরচের জন্য মানবিক কারনে বিক্রি করতে পারে। কিন্তু যেহেতু এলাকাবাসী থেকে অভিযোগ আসছে শত শত ট্রাক মাটি অনত্র বিক্রি করছে। সেহেতু আমি আজই (মঙ্গলবার) মাটি কাটা ও বিক্রি বন্ধ বন্ধ করে দিব।