Sharing is caring!
স্টাফ রিপোর্টারঃ নিয়ম না মেনেই সরকারি গাছ কাটা হচ্ছে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার রাইগাঁ ইউনিয়নে। অভিযোগ উঠেছে, ওপেন টেন্ডার, বিজ্ঞপ্তি-প্রচারণা ছাড়াই চলছে এসব গাছকাটা। আর এসব গাছ কেটে সরাসরি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে স্থানীয় এক খড়ির (জ্বালানী) আড়তে । এতে জড়িত রাইগাঁ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান। তবে, ওই জনপ্রতিনিধির দাবি, উপজেলা প্রশাসনের মৌখিক নির্দেশনা রয়েছে গাছের ডাল কাটার কিন্তু সেটিও তিনি করছেন না। গাছ বা গাছের ডাল কাটছেন ইউনিয়ন ভূমি অফিস। আর ভূমি অফিস বলছেন গাছ কাটার বিষয়ে কিছুই জানেন না তাঁরা।
অভিযোগ, নওগাঁ মহাদেবপুর উপজেলার রাইগাঁ ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে ইউপি সদস্য আব্দুর রউফ উপস্থিত থেকে দিনে দুপুরে কাটছে গাছ। আর এসব গাছ যাচ্ছে সারাসরি একটি খড়ির (জ্বালানী) আড়তে। রাইগাঁ হাটের প্রাচীণ এসব সরকারি গাছ কাটার ক্ষেত্রে ওপেন টেন্ডার, মূল্য নির্ধারণসহ প্রচারনার কোন নিয়ম মানা হয় নি। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানিয়রা বাঁধা দেয়। গড়ে তোলেন প্রতিরোধ। বাঁধার মুখে এসব গাছ রেখে সটকে পরে ওই ইউপি সদস্য। পরে অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন রাইগাঁ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুস। তিনি গাছের কাটা অংশ নিয়ে যেতে চান ইউনিয়ন ভূমি অফিসে। কিন্তু তাতেও বাঁধা দেন স্থানীয়রা। স্থানীয়দের দাবী ছিলো গাছ কাটার নির্দেশনা বা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘটনাস্থলে এসে কাটা গাছগুলোর ব্যবস্থা করবেন। পের উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশনায় ঘটনাস্থল থেকে গাছের কাটা অংশ ও আড়তে দেয়া কাটা গাছ উদ্ধার করে ভূমি অফিসে নেয়া হয়।
রাইগাঁ ইউপি ইউপি সদস্য আব্দুর রউফ বলেন চেয়ারম্যানের নির্দেশে কাটা হচ্ছে এসব গাছের মড়া ডাল। এবং সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনেই এসব গাছ কেটে ছাফ করার নির্দেশও দেন শ্রমিকদের। কিন্তু চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান আরিফ বলছেন উপজেলা প্রশাসনের মৌখিক নির্দেশ রয়েছে এসব গাছের ডাল কাটার। তবে তিনি বা তাঁর পরিষদ এসব ডাল কাটেননি। কেটেছেন ইউনিয়ন ভূমি অফিস তাঁর পরিষদের একজন সহযোগীতা করেছেন মাত্র।
এবিষয়ে রাইগাঁ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুসের কাছে জানতে চাইলে তিনি গাছ কাটার বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান এবং তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ গুলো উদ্ধারের চেষ্টা করেন।
মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসান জানান, নিরাপত্তাজনিত কারণে মৌখিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে ঝুকিপূর্ণ গাছের মড়া ডাল কাটার। আর সেটিও রাখতে হবে সংরক্ষণে। পরে দেয়া হবে ওপেন টেন্ডার। আড়তে নেয়ার কোন সুযোগ নেই। আর এটি যদি কেউ করেন তাহলে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।