Sharing is caring!
স্টাফ রিপোর্টার : টাঙ্গাইলের মধুপুরের ফুলবাগচালা ইউনিয়নের ফুলবাগচালা বাঙ্গাল পাড়া গ্রামে মেয়ের জামাইয়ের আগুনে শশুরের বাড়ী পুড়ে ছাই হয়েছে। এঘটনায় মধুপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগকারী ফুলবাগচালা বাঙ্গালপাড়া গ্রামের মৃত ওহেদ আলী’র ছেলে আব্দুর রশিদ জানান, আমার মেয়ে রোজিনা কে গত ৮ বছর পূর্বে একই এলাকার মুনছের আলীর ছেলে বুকুলের কাছে বিয়ে দেই। বিয়ের পর থেকেই জামাই বকুল মদ খেয়ে বেধড়ক মারপিট করায় গুরুত্বর আহত হয়ে শশুরবাড়ী থেকে বাড়ী চলে আসে। পরে মধুপুর থানায় একটি জিডি দায়ের করি।
থানায় আইনের আশ্রয় নেয়ার জের ধরে গত সোমবার(৩ এপ্রিল২৩)ইং বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মেয়ের জামাই বকুল ও তার ছোট ভাই বিপুল দুই জনে মদ খেয়ে এসে ঘরে ঢুকে কেরোসিন দিয়ে ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং কী ঘরে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে দা হাতে নিয়ে দুই ভাই বাহির বাড়ীতে দাড়িয়ে থাকে। কাউকে আগুন নিভাতে দেয়নি। আমাদের ডাক চিৎকারে আশে পাশের লোকজনেরা এগিয়ে আসলে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয় লোকজনেরা দৌড়ে বকুলকে আটক করে পুলিশ খবর দিয়ে তাদের কাছে সোপর্দ করা হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্যের খবরে পার্শ্ববর্তী ধনবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে আগুন নিভায়। এঘটনায় আমি বাদী হয়ে মধুপুর থানায় গত সোমবার রাতে একটি মামলা দায়ের করি। মামলা করার দুই দিন পার হলেও বাকী আসামীদের পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
নির্যাতিত রোজিনা বেগম জানান, আমার স্বামী বকুল মাদকাসক্তক সে জুয়া খেলে এগুলো প্রতিবাদ করলে সে আমাকে মারপিট করে। পরে থানায় জিডি করায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে ঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে সব কিছু পড়ে ছাই করে দিয়েছে। তাই এঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছি।
স্থানীয় ৮ নং ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন ঘটনার সত্যত্যা স্বীকার করে দ্রুুত দোষী ব্যাক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবী জানান।
এব্যাপারে মধুপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মাজাহারুল আমীন বিপিএম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বকুল নামের একজন গ্রেপ্তার হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।