অনলাইন ডেস্ক: সাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ:- মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় মুসলিম উম্মাহ সব সময় আন্তরিক। ত্যাগ ও সংযমের সঙ্গে সিয়াম সাধনার মধ্য দিয়ে পার করেন রমজানের একটি মাস। মুসলমানরা রোজা পালনে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার থেকে বিরত থাকেন।
কিন্তু ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত খাবারের গড়মিল এবং পর্যাপ্ত পানি পানের অভাবে অনেকেরই প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া দেখা দেয়। বিশেষ করে গরমের দিনে এই সমস্যা বেশি হয়। প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া শুধু পুরুষেরই হয় না। নারীদেরও হয়। তবে পুরুষের তুলনায় নারীদের প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হওয়ার প্রবণতা বেশি।
প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হলে যে সমস্যা সে বিষয় গুলো হতে পারে তা নিচে দেয়া হল-
*প্রস্রাব গাঢ় হলুদ বা লালচে হয়ে যায়।
*প্রস্রাবে বাজে গন্ধ আসে।
*একটু পর পর প্রস্রাবের বেগ আসে কিন্তু পরিমাণে খুব কম হয়।
*প্রস্রাব করার সময় জ্বালা পোড়া বা ব্যথা হয়।
*তলপেটে বা পিঠে তীব্র ব্যথা হয়।
*সারাক্ষণ জ্বর জ্বর ভাব অথবা কাঁপুনি দিয়ে জ্বর হওয়া।
*বমি ভাব বা বমি হওয়া।
কিছু ঘরোয়া উপায়ে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া থেকে নিস্তার পাওয়া সম্ভব। সেক্ষেত্রে প্রচুর পানি খেতে হবে। প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া বা ইউরিন ইনফেকশন হলে কিংবা ঘন ঘন ইনফেকশন হওয়ার প্রবণতা থাকলে প্রতিদিন কম পক্ষে ২ থেকে ৩ লিটার পানি খাওয়া উচিৎ। তাছাড়া তরল জাতীয় খাবার, ইসুপগুলের ভুসি-মিছরির শরবত, অ্যালোভেরার শরবত, আখের গুঁড়, ফলের ফ্রেস জুস, ডাবের পানি বা লেবুর শরবত খেতে পারেন। বাসার বাইরে গেলেও সব সময় সঙ্গে পানি রাখুন। এক্ষেত্রে কর্যকরী সমাধান পেতে আরও খেতে পারেন ভিটামিন সি জাতীয় খাবার। ভিটামিন সি ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সহায়তা করে। ভিটামিন সি মুত্রথলীকে ভালো রাখে এবং প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া ভাব কমাতে সহায়তা করে।
আনারসে আছে ব্রোমেলাইন নামক একটি উপকারী এঞ্জাইম। গবেষণায় দেখা গেছে যে ইউরিন ইনফেকশনে আক্রান্ত রোগীদেরকে সাধারণত ব্রোমেলাইন সমৃদ্ধ অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হয় এবং তা ইউরিন ইনফেকশন ভালো করে দেয় খুব দ্রুত। তাই ইউরিন ইনফেকশন হলে প্রতিদিন এক কাপ আনারসের রস খান। ইউরিন ইনফেকশন সাধারণত দুই দিনের বেশি সময় থাকে। আর এই সময়ে ইনফেকশন কিডনিতে ছড়িয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই যত দ্রুত সম্ভব ইউরিন ইনফেকশন সারিয়ে ফেলা উচিত। বেকিং সোড়া দ্রুত ইউরিন ইনফেকশন সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। আধা চা চামচ বেকিং পাউডার এক কাপ পানিতে ভালো করে মিশিয়ে দিনে একবার করে খেলে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া কমে এবং ইউরিন ইনফেকশন দ্রুত ভালো হয়। গরমে সারা দিন রোজা রাখার পর শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দেয়। শরীরে পানিশূন্যতার কারণে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ইফতারে শরবতের সঙ্গে খেতে পারেন ইসুবগুলের ভুসি।
ইসুবগুলের ভুসি আপনার প্রস্রাব হলুদ ও জ্বালা পোড়া, ডায়েরিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, পাইলস, আমাশয় ও উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। ইসুবগুলের ভুসির রয়েছে বেশ স্বাস্থ্যসম্মত উপাদান, যা শরীরের জন্য উপকারী। তাই প্রতিদিনের ইফতারের আয়োজনে ইসুবগুলের ভুসি রাখতে পারেন শরবতে।
আসুন জেনে নেই রোজায় কেন খাবেন ইসুবগুলের ভুসি কি কাজে লাগে—
১//কোষ্ঠকাঠিন্য
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হলে ৫-১০ গ্রাম ইসুবগুল নিয়ে এক কাপ ঠাণ্ডা বা হালকা গরম পানিতে আধঘণ্টা ভিজিয়ে তাতে দু-তিন চামচ চিনি মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে বা রাতে শোয়ার আগে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
২//পাইলস
কোষ্ঠবদ্ধতা পাইলসের প্রধান কারণ। তাই পাইলসের রোগীদের নিত্যদিনের ওষুধ এই ইসুবগুল। প্রতি রাতে পানিতে এক টিপ ইসুবগুলের ভুসি দিয়ে খেয়ে শুতে যাওয়া অভ্যাস করলে উপকার পাওয়া যায়।
৩//আমাশয়
গরমে সারা দিন রোজা রাখার পর শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দেয়। শরীরে পানিশূন্যতার কারণে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ইফতারে শরবতের সঙ্গে খেতে পারেন ইসুবগুলের ভুসি। ইসুবগুলের ভুসি আপনার প্রস্রাব হলুদ ও জ্বালাপোড়া, ডায়েরিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, পাইলস, আমাশয় ও উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
ইসুবগুলের ভুসির রয়েছে বেশ স্বাস্থ্যসম্মত উপাদান, যা শরীরের জন্য উপকারী। তাই প্রতিদিনের ইফতারের আয়োজনে ইসুবগুলের ভুসি রাখতে পারেন শরবতে।
৪/ উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
কোলেস্টেরল ও উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং ওজন কমাতে চাইলে ইসুবগুলের ভুসি খান। পাশাপাশি টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য এটা এক দারুণ পথ্য।
৫/ডায়েরিয়া
ডায়েরিয়া উপশমে বেশ উপকারে আসে ইসুবগুল ভুসি। এজন্য ৭-২০ গ্রাম ভুসি দিনে দুবার খাওয়া যেতে পারে।
৬/প্রস্রাব হলুদ ও জ্বালাপোড়া
যে কোনো কারণে প্রস্রাব হলুদ হয়ে জ্বালাপোড়া হলে সকালে এক গ্লাস ও বিকালে এক গ্লাস শরবতের সঙ্গে ইসুবগুলের ভুসি খেলে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া চলে যায়।
৭/মাথা ব্যথা
যে কোনো কারণে মাথা ব্যথা রোগ হলে বা হাত-পা জ্বালাপোড়া হলে সকাল-বিকালে এক গ্লাস আখের গুড়ের শরবতের সঙ্গে ইসুবগুলের ভুসি মিশিয়ে এক সপ্তাহ খেলে উপকার পাওয়া যায়।
বৃঃদ্র: আমার লেখা গুলো যদি কারো পড়ে ভালো লাগে তাহলে কমেন্টে জানান, যদি কারো প্রাথমিক কোন রোগ দেখা দেয় আমি আপনাদের একটি বেজাল মুক্ত গ্রহনযোগ্য পরামর্শ দিতে পারব।
আল্লাহ্ এই পবিত মাহেরমজানে সবাই কে রোজা রাখার তোফিক দান করুন আমিন—
<p>ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক -শেখ তিতুমীর আকাশ।<br>সহকারী সম্পাদক-নাসরিন আক্তার রুপা।<br>বার্তা সম্পাদক-মোঃ জান্নাত মোল্লা।<br>প্রধান উপদেষ্ঠা: আলহাজ্ব খন্দকার গোলাম মওলা নকশে বন্দী ।<br><br>প্রকাশ কর্তৃক : এডভানসড প্রিন্টং - ক-১৯/৬, রসুল বাগ, ঢাকা। মহাখালী ঢাকা হতে মুদ্রিত এবং ১৭৮, পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা-১২১৭ হতে প্রকাশিত। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ অফিসঃ ৩৮৯ ডি আই.টি রোড (৫ম তলা) পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা ১২১৯ ,<br>মোবাইল: - ০১৮৮৩২২২৩৩৩,০১৭১৮৬৫৫৩৯৯</p><p>ইমেইল : abhijug@gmail.com ,</p>
Copyright © 2024 Weekly Abhijug. All rights reserved.