Sharing is caring!
থানচি বান্দরবান প্রতিনিধি
নিরাপত্তাজনিত কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও তা অমান্য করে বান্দরবানে থানচিতে ভ্রমণ করায় পাঁচ পর্যটকসহ পর্যটক পথ প্রদর্শক বুদ্ধি চন্দ্র ত্রিপুরা’কে দুই হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ সোমবার ২০ মার্চ) সন্ধ্যায় স্থানীয় এক পথ প্রদর্শকসহ পাঁচ পর্যটকদের দুই হাজার টাকা জরিমানা করেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাঃ আবুল মনসুর। পর্যটকেরা হলেন- কুমিল্লা জেলা বাসিন্দা হৃদয় কুমার রায় (২২), দীনবন্ধু কর্মকার (২৪), সাজ্জাদ হোসেন (২৫), সৌমেন মজুমদার (২৪) ও অপূর্ব দেবনাথ (২৩)।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা জেলা থেকে আসার পাঁচ পর্যটকদের নিয়ে গত ১৫ মার্চ পর্যটন কেন্দ্র জিন্না পাড়ায় আমিয়াখুম, ঙাফাখুম, সাতভাইখুমসহ কয়েকটি পর্যটন কেন্দ্র স্থানে ভ্রমণে যান থানচি উপজেলা প্রশাসনের তালিকাভুক্ত পর্যটক পথ প্রদর্শক বুদ্ধি চন্দ্র ত্রিপুরা।
আরো জানা গেছে, এ পাঁচ পর্যটকদের গন্তব্য স্থানে ভ্রমনে ছয় দিনের পর আজ উপজেলা সদরে পৌঁছালে খবর পেয়ে থানচি থানা-পুলিশের উপসহকারী পরিদর্শক (এসআই) মোঃ ইমাম আলী বিজিবি চেক পোস্ট থেকে তাঁদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ের হাজির করেন। এতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ইউএনও) মুহাঃ আবুল মনসুর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা সত্যতা স্বীকার করায় পথ প্রদর্শককে এক হাজার ও পাঁচ পর্যটককে এক হাজার টাকা জরিমানা করার শেষে পর্যটকদের থানচি উপজেলা থেকে চলে যাওয়ার নির্দেশনা প্রদানে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ইউএনও) মুহাঃ আবুল মনসুর জানান, ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় এক পথ প্রদর্শকসহ পাঁচ পর্যটকদের জরিমানা করা হচ্ছে। দ্রুত থানচি উপজেলা থেকে চলে যাওয়ার নিদের্শনা দিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, যৌথ অভিযানে স্থানীয় ও দেশি-বিদেশি পর্যটকদের নিরাপত্তাজনিত কারণে গত ১৪ মার্চ রাতে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজির স্বাক্ষরিত এক পত্রে থানচি, রুমা ও রোয়াংছড়ি তিন উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণের ওপর অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।