২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

রমজানে নিত্যপণ্যের বাজারে ব্যবসায়ীদের অতিমুনাফা আদায় থেকে বিরত থাকার আহবান ক্যাব চট্টগ্রামের

প্রকাশিত মার্চ ২০, ২০২৩
রমজানে নিত্যপণ্যের বাজারে ব্যবসায়ীদের অতিমুনাফা আদায় থেকে বিরত থাকার আহবান ক্যাব চট্টগ্রামের

Sharing is caring!

চট্টগ্রাম ডেস্ক:
চট্টগ্রামের বৃহত্তম পাইকারী বাজার রেয়াজউদ্দীন বাজারে ক্যাব চট্টগ্রামের বাজার ভিত্তিক প্রচারণা কর্মসূচিতে বক্তারা
রমজানে নিত্যপণ্যের বাজারে ব্যবসায়ীদের অতিমুনাফা আদায়ে থেকে সংযম প্রদর্শনের আহবান ব্রয়লার মুরগি উৎপাদনকারীদের সাথে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের সভায় জানা যায় ১ কেজি মুরগি উৎপাদনে খরচ ১২৫-১৩০ টাকা আর ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রি হয় ২৫০ টাকায়। লাভের এই বিশাল পাহাড় শুধু ব্রয়লার মুরগি নয় সবকটি নিত্যপণ্যের দামে এভাবে অতি মুনাফার কারনে বর্তমানে জীবন জীবিকা কঠিন বাস্তবতায়। ব্যবসায়ীরা ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ, আর্ন্তজাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধি, ডলার ও এলসির সংকটসহ নানা অজুহাত দেখালেও সবগুলির সাথে যুক্তিকতা খুঁজে পাওয়া দুস্কর। সেকারনে অতিমুনাফার এখন সামাজিক সংক্রমন ঘটেছে। এসুযোগে ব্যবসায়ীরা একবার সয়াবিন, একবার পেয়াঁজ, একবার ডাল, আটা-ময়দা এভাবে প্রতিটি পণ্যের বাজারে অস্থিরতা তৈরী করছেন। গুটিকয়েক অসাধু ব্যবসায়ীদের নিত্যপণ্য মূল্যের বাজারে অতিমুনাফা ও তাদের নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ঠদের কালক্ষেপনে সরকারের সব অর্জনকে ম্লান করে দিচ্ছে। আর এভাবে বিষয়টিকে অবজ্ঞার ফল দীর্ঘমেয়াদে সরকারের জনপ্রিয়তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছে। তাই আসন্ন পবিত্র রমজানে নিত্যপণ্য মূল্যে মূল্য স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের অতিমুনাফা আদায় থেকে সংযম প্রদর্শন দাবিতে বাজার ভিত্তিক প্রচারণা কর্মসূচি ২০ মার্চ ২০২৩ইং সকালে নগরীর বৃহত্তম পাইকারী বাজার রেয়জউদ্দীন বাজারে অনুষ্ঠিত হয়। কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম ও ক্যাব যুব গ্রুপ এর উদ্যোগে গণঅবস্থান ও বাজার ভিত্তিক প্রচারণা কর্মসুচির অংশহিসাবে এ কর্মসূচিতে অংশনেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন। ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আবু হানিফ নোমানের সঞ্চালনায় গণঅবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি হাজী সালামত আলী, বাংলাদেশ রেস্তোরা মালিক সমিতি চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি হাজী ইলিয়াছ ভুইয়া, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি সালেহ আহমদ সুলেমান, রেয়াজউদ্দীন বাজার বনিক কল্যান সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি এম সাইফুদ্দিন, রেয়াজউদ্দীন বাজার আড়তদার কল্যান সমিতির সাধারন সম্পাদক মোঃ ফারুক সিবলী, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, ক্যাব পাঁচলাইশের সাধারন সম্পাদক সেলিম জাহাঙ্গীর, ক্যাব পাহাড়তলীর হারুন গফুর ভুইয়া, ক্যাব জামালখান ওয়ার্ড সভাপতি সালাহউদ্দীন আহমদ, ক্যাব সদরঘাট সভাপতি শাহীন চৌধুরী, ক্যাব চান্দগাঁও থানা সভাপতি মোহাম্মদ জানে আলম, সাধারন সম্পাদক ইসমাইল ফারুকী, মহানগর নির্মান শ্রমিক লীগের সভাপতি এম এ আলিম রানা, বোয়ালখালী ইউপি চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি নুর মোহাম্মদ চেয়ারম্যান, ক্যাব চান্দগাঁও ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রহমান, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগরের নিলয় বর্মন, আমজাদুল হক আয়েজ, ইমদাদুল ইসলাম, ওমর করিম, করিমুল ইসলাম, আহসান সাজ্জাদ প্রমুখ।বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গুটিকয়েক ব্যবসায়ী নানা অজুহাতে করোনার লকডডাউন পরবর্তী সময় থেকে নিত্যপণ্যের বাজারে অতিমুনাফা করে ভোগ্যপণ্যের বাজার অস্থির করে আছেন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অনুসন্ধানে তাদের নাম ও পরিচয় বের হয়ে আসলেও এসমস্ত অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্ঠান্তমুলক শাস্তি নিশ্চিত হয়নি।বক্তাগন পবিত্র রমজান মাসে পণ্য-দ্রব্য ক্রয়ে সংযমের পরিচয় প্রদানের জন্য দেশবাসীর কাছে আহবান জানান। মাসের বাজার একসাথে না করে সপ্তাহের বাজার করার আহবান জানান। একই সাথে দরিদ্রদের মাঝে নিত্যপণ্যের বাজার যোগান ও সরবরাহ ঠিক রাখতে ইফতার সামগ্রী বিতরণের পরিবর্তে নগদ অর্থ বিতরণের আহবান জানান। বাজারের দোকানগুলিতে মূল্য তালিকা না থাকলে, কেউ অতিমুনাফা করলে বা হয়রানি করলে, অবৈধভাবে মজুত করলে ভোক্তা অধিদপ্তরের হটলাইন নাম্বার ১৬১২১, জেলা প্রশাসন ও ক্যাব এর নাম্বারে জানানোর আহবান জানান।প্রচারাভিযানকালে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন দেশে ইফতারে প্লেটভর্তি ছোলা, পেঁয়াজু, বেগুনি, চপ, জিলাপি ও মুড়ি ছাড়া হয় না। কিন্তু রোজাদারের স্বাস্থ্যের পক্ষে এসব খাবার কতটুকু উপকারী? স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থাকার পর সন্ধ্যায় ইফতারিতে ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। ডায়েবেটিস বা বহুমূত্র রোগে আক্রান্ত রোগীদের অবশ্যই সাহরি ও ইফতারিতে দুধ, ওটস এবং বাদামের মতো হালকা খাবার খাওয়া উচিত। ভাজাপোড়া ও মিষ্টান্নজাতীয় খাবার শরীরে ক্যালরির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই যেসব খাবারে তেল ও শর্করাজাতীয় উপাদান থাকে সেসব খাবার পরিহার করাই শ্রেয়। একইভাবে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদেরও ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া উচিত নয়। বিকল্প হিসাবে খিচুরীও শরীরের জন্য ফলদায়ক বলে মত প্রকাশ করা হয়।