২৬শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা রমজান, ১৪৪৪ হিজরি

রোজা অবস্থায় বমি করলে বা অজ্ঞান হলে কি রোজা ভেঙে যাবে?

editor
প্রকাশিত মার্চ ১৮, ২০২৩
রোজা অবস্থায় বমি করলে বা অজ্ঞান হলে কি রোজা ভেঙে যাবে?

রোজা অবস্থায় বমি করলে বা অজ্ঞান হলে কি রোজা ভেঙে যাবে?

অনলাইন ডেস্ক ধর্ম: রমজান মাস ঘনিয়ে আসছে। এ মাসে রয়েছে মহান আল্লাহর রহমত এবং সান্নিধ্য লাভের সুবর্ণ সুযোগ। তাই নিষ্ঠার সঙ্গে রমজানের ইবাদত-বন্দেগি করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে মানুষ। মাসজুড়ে উপবাস করাই রমজানের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। তাৎপর্যপূর্ণ এ মাস শুরুর আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনে নেয়া জরুরি। রমজানে রোজা রাখার বেশকিছু নিয়ম আছে। সঠিকভাবে রোজা পালন করতে ছোট ছোট বিষয় জানা জরুরি। এর মধ্যে অনেকেই জানতে চান, রোজা অবস্থায় বমি করলে বা অজ্ঞান ও বেহুশ হয়ে পড়লে কি রোজা ভেঙে যাবে কি না।

এ ব্যাপারে ইসলামের নির্দেশনা হচ্ছে, বমির পরিমাণ বেশি হোক বা কম, সেটা খাদ্য বমি হোক বা রক্ত বমি, মনে রাখতে হবে— রোজা হলো পানাহার না করার নাম। বমি হলে তো পানাহার করা হয় না; বরং তার বিপরীত হয়। তাই রোজা অবস্থায় বমি হলে রোজা ভাঙবে না। তবে বমি হওয়ার পর রোজা পালনে সক্ষম হলে তা পূর্ণ করবে; অক্ষম হলে রোজা ছেড়েও দিতে পারবে। এ রোজা পরে কাজা আদায় করতে হবে; কাফফারা প্রয়োজন হবে না। বমি মুখে আসার পর তা গিলে ফেললে রোজা ভেঙে যাবে। ইচ্ছাকৃত বমি করলে রোজা ভঙ্গ হবে। এমতাস্থায় কাজা ও কাফফারা উভয়টাই আদায় করতে হবে। হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, অনিচ্ছাকৃত ভাবে কোনো ব্যক্তির বমি হলে তাকে রোজা কাজা করতে হবে না (অর্থাৎ তার রোজা ভাঙবে না)। আর যে ইচ্ছাকৃত বমি করবে, সে যেন রোজার কাজা করে। (তিরমিজি, হাদিস : ৭২০; মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা : ৬/১৮০; আল বাহরুর রায়েক : ২/২৪৭) অনুরূপভাবে কোনো কারণে অজ্ঞান হলে (যাতে সাধারণত রোজার বিপরীত কিছু ঘটে না) রোজা ভঙ্গ হবে না। তবে দুর্বলতা বা অসুস্থতার কারণে প্রয়োজনে পানাহার বা ওষুধ সেবনে রোজা ভাঙলে পরে কাজা আদায় করে নিতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media
March 2023
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031